দ্বিতীয় অধ্যায় { * প্রকৃত প্রতিমা । যে একখানা মাটির কালী গড়িয়া পূজা করে, সে যদি স্বকৃত উপাসনার কিছু মাত্র বুঝে, তবে সে জানে, এই চিত্রিত মৃৎপিণ্ড, ঈশ্বর নহে, বা ঈশ্বরের প্রতিমা নছে, এবং গে জানে তাহ ঈশ্বরের প্রতিকৃতি হইতে পারে না । তবে সে এ মাটির তালের পূজা করে কেন ? সে র্যাহার পূজা করিবে, তাহাকে খুজিয়া পায় না। তিনি অদৃশু, অচিস্ত লীয়, ধ্যালের অপ্রাপ্য, অতএব উপাসনার অতীত । কাজেই সে তাহাকে ডাকিয়া বলে, “হে বিশ্বব্যাপিনি সৰ্ব্বমঞ্জি আদ্যশক্তি ! তুমি সৰ্ব্বত্রই আছ, কিন্তু আমি তোমাকে দেখিতে পাই ন ; তুমি সৰ্ব্বত্রই আবিভূত হইতে পার, অতএব আমি দেখিতে পাই এমন কিছুতে আবিভূত হও । আমি তোমার ষেরূপে কল্পনা করিয়া গড়িয়াছি, তাহাতে আবির্ভূত হও, আমি তোমার উপাসনা করি । নহিলে কোথায় পুষ্পচন্দন দিৰ তদ্বিষয়ে মনঃস্থির করিতে পারি নী।” এই প্রতিমাপুজার উপরে আমাদের শিক্ষাগুরু ইংরেজদিগের বড় রাগ এবং তাহাদিগের শিষ্য নব্য ভারতবর্ষীয়েরও বড় রাগ । ইংরেজের রাগ, তাহার কারণ, বাইবেলে ইহার ৰুিষেধ আছে , শিক্ষিত তারতবর্ষীয়ের স্লাগ, কেন না ইংরেজের ইহার উপর ব্লাগ যাহা ইংরেজে নিন্দ করে, তাহ “আমাদের* অবগু নিম্বনীয়। প্রতিমা পূজা ইংরেজের নিকট নিন্দনীয়, অতএব প্রতিমা পূজা অবশু “আমাদের” নিন্দনীয়, তাহার জার বিচার থমাচায়ের প্রয়োজন নাই। ইংরেজ বলে যে এই প্রক্তিম! পুজার জন্ত ভারতবর্ষ উৎসল্প গিয়াছে, এবং ইছার ধ্বংস নী হইলে একেৰাৱে উৎসৱ ধাইবে স্বতন্ত্ৰাং জামরাও ভৰাই
- : :