fक्र्र्रौं प्ठप्रश्giश्नः ॥ 神多 এতদুভয়ের মধ্যে উৎকর্ষপকর্ষ নাই । সুতরাং উৎকর্যাপকৰ্বের বিচার নিম্প্রয়োজনীয় । সাকারোপাসকের বলিয়া থাকেন, নিরাকারের উপাসন হয় না। অনন্তকে আমরা মনে ধরিতে পারি না, সুতরাং তাহার ধ্যান বা চিস্তা আমাদের দ্বারা সম্ভব নহে, এ কথারও বিচার নিম্প্রয়োজন বোধ হয় । কেন না এমন যদি কেহ থাকেন, যে তিনি আপনার সান্তচিন্তাশক্তির দ্বারা আনস্তের ধ্যান বা চিন্তীয় সক্ষম, এবং তাহাতে ভক্তিযুক্ত হইতে পারেন, তবে তিনি নিরাকারেরই উপাসনা করুন । যিনি তাহা না পারেন, র্তাহাকে কাজেই সাকারের উপাসনা করিতে হুইবে । অতএব সাঁকারোপাসক ও নিরাকারোপাসকের মধ্যে, বিচার বিবাদ ও পরস্পরের বিদ্বেষের কোন কারণ দেখা যায়ু না । পাঠক স্মরণ রাখিবেন, যে আমি সাকারের উপাসন,” এবং “সাকারোপাসক” ভিন্ন “সাকারবাদ” বা “সাকারবাদী” শব্দ ব্যবহার করিতেছি না । কেন না, "সাকারবাদ” অবশু্য পরিহার্য্য ! ঈশ্বর সাকার নহেন, ইহা পূর্বেই বলা গিয়াছে । • কখtট উঠিতে পারে সে ঈশ্বর যদি সাকার নহেন, তবে হিন্দুধৰ্ম্মের অবতারবাদের কি হইবে ? এই গীতার বক্র কৃষ্ণকে উদাহরণ স্বরূপ গ্রহণ করা যাউক । ঈশ্বর নিরাকার, কিন্তু কৃষ্ণ সাকার । ইহাকে তবে কি প্রকারে ঈশ্বরাবতার বলা যাইবে ? এই প্রশ্নের যথাসাধ্য উত্তর আমি কৃষ্ণচরিত্র নামক মৎপ্রণীত গ্রন্থে দিয়াছি, স্থ তরাং এখানে সে সকল কথা পুনর্ধার বলিবার প্রয়োজন নাই। ঈশ্বর সর্বশক্তিমান, সুতরাং ইচ্ছানুসারে তিনি
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১০৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।