3 శ్రీ ঐশস্তগবদগীতল য় বা হইবেন না। ইনি অজ, নিত্য, শাশ্বত, পুরাণ ; শরীর হত হইলে ইনি হত হয়েন ন} }২০। টীকাকারের বলেন, আত্মা যে অবিক্রিয়, ইহার বড় ভাববিকারশূন্তত্বের দ্বারা দৃঢ়ীকৃত করা হইতেছে। ইনি জন্মশূন্ত— এই কথার দ্বার জন্ম প্রতিষিদ্ধ হইল ; মরেন না-ইহাতে বিনাশ প্রতিষিদ্ধ হইল । ইনি কখন উৎপন্ন হরেন নাই, এজন্ত বর্তমান নাই। যাহা জন্মে, তাহাকেই বৰ্ত্তমান বলা যায় ; কিন্তু ইনি পূৰ্ব্ব হইতে স্বতঃ সদ্ধপে আছেন, অতএব উৎপন্ন হইরা যে বিদ্যমানত তাহা ইহার নাই । এবং সেই জন্ত ইলি আবার জন্মিবেন না। সেইজন্ত ইনি, অজ, অর্থাৎ জন্মশূন্ত, ইনি নিত্য, অর্থাৎ সৰ্ব্বদা একরূপ : শাশ্বত অর্থাৎ অপক্ষয়শূন্ত, পুরাণ অর্থাৎ বিপরিণামশূন্ত । এক্ষণে পাঠক, এই দুইটী শ্লোকের প্রতি মনোভিনিবেশ করিলেই দেখিতে পাইবেল, যে আত্মার এই অবিক্রিয়ত্ববাদ সম্বন্ধে কোন কথা স্পষ্টতঃ মূলে নাই । অস্পষ্টতঃ “নায়ং হস্তি” এই কথাটা আছে, কিন্তু ইহার অন্ত অর্থ ন হইতে পারে, এমনও নহে । যদি কেহ মরে না, তবে আত্মা ও কাহাঁকে মারে না । আত্মা যে অবিক্রিয়, ইহা প্রাচীন দর্শনশাস্ত্রের একটা মত । তত্ত্বটা কি, তাহ পাঠককে বুঝান যাইতে পারে, কিন্তু সে প্রসঙ্গ উত্থাপিত করা আবশু্যক বোধ হইতেছে না। অবিশু্যক যোধ হুইতেছে না, তাহার কারণ, আমরা গীতার ব্যাখ্যার প্রবৃত্ত, কিন্তু এই দুইট শ্লোক গীতার নহে। শ্লোক দুইটা কঠোপনিষদের । গীতার দ্বিতীয় অধ্যায়ের যেটা ১৯শ শ্লোক, তাহ কঠোপনিষদেরও দ্বিতীয় বীর ১৯শ শ্লোক ; আর গীতার ঐ অধ্যায়ের যেটা ২sশ
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১০৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।