দ্বিতীয় অধ্যায়। ఈ i ৩১ শ্লোকের টীকায় যাহা লেখা গিয়াছে, তাহতেই এই দুই শ্লোকের তাৎপৰ্য্য স্পষ্ট বুঝা যাইবে । অকীৰ্ত্তিঞ্চাপি ভূতানি কথয়িষ্যস্তি তেহব্যয়াম। সম্ভীবিতস্ত চাকীর্তির্মরণাদতিরিচ্যতে ॥ ৩৪ ৷৷ লোকে তোমার চিরস্থায়ী অকীৰ্ত্তি ঘোষণা করিবে । সমর্থ ব্যক্তির অকীৰ্ত্তির অপেক্ষ মৃত্যু ভাল। ৩৪ ৷ ভয়ান্দ্রণাদুপরতং মংস্যন্তে ত্বাং মহারথাঃ । ষেষাঞ্চ ত্বং বহুমতো ভূত্বা যাস্যসি লাঘবম ॥ ৩৫ ॥ মহারথগণ মনে করিবেন, তুমি ভয়ে রণ হইভে বিরত হইলে । যাহার তোমাকে বহুমান করেন, তাহাদিগের নিকট তুমি লাঘব প্রাপ্ত হইবে । ৩৫ ৷ অবাচ্যবাদাংশ্চ বহূন বদিষ্যস্তি তবাহিতঃ। নিন্দন্তস্তব সামর্থ্যং ততো দুঃখতরং মু কিম ॥ ৩৬ ॥ তোমার শত্ৰুগণ তোমার সামর্থ্যের নিন্দ করিবে ও অনেক আবাচ্য কথা বলিবে। তারপর অধিক দুঃখ আর কি আছে ? ॥৩৬ হতো বা প্রাপস্যসি স্বৰ্গং জিত্ব বা ভোক্ষ্যসে মহীং । তস্মাছত্তিষ্ঠ কৌন্তেয় যুদ্ধায় কৃতনিশ্চয়ঃ ॥ ৩৭ ॥ ছত হুইলে স্বর্গ পাইবে । জয়ী হইলে পৃথিবী ভোগ করিবে । অতএব, হে কৌন্তেয় । যুদ্ধে কৃতনিশ্চয় হইয়। উখান কর। ৩৭ ৷ - ৩৪ ৷৷ ৩৫ । ৩৬ ৷৷ ৩৭, এই চাক্সিট শ্লোক কি এপ্রকারে এখানে আসিল, তাহ বুঝা যায় না । এই চারিট শ্লোক গীতার অযোগ্য ।
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।