দ্বিতীয় অধ্যায় । $త్తి এবং কিরূপেই লাভ হয়, তাহাও সেই গ্রন্থে বুঝাইয়াছি । সে সকল কথা আর এখানে পুনরুক্ত করিব না। ফলে জীবন্মুক্তি হিন্দুধৰ্ম্মের বহিভূত তত্ত্ব নহে । এই গীতাতেই উক্ত হইয়াছে, যে জীবন্মুক্তি লাভ করা যায়। আমরা ক্রমশঃ তাহ বুঝিব। যেরূপ অনুষ্ঠানের দ্বারা তাহ লাভ করা যাইতে পারে, তাহাই কৰ্ম্মযোগ । ইহাও দেখিব । সুতরাং র্যাহার জন্মান্তর মানেন ল, তাহারাও কৰ্ম্মযোগের দ্বারা মুক্তিলাভ করিতে পারেন । গীতোক্ত ধৰ্ম্ম বিশ্বলৌকিক, ইহা পুৰ্ব্বে বলা গিয়াছে । উপসংহারে বলা কৰ্ত্তব্য যে আর এক কৰ্ম্মফলের কথা আছে । হিন্দুর যাগযজ্ঞ ব্ৰতানুষ্ঠান করিয়া থাকেন—কৰ্ম্মফল পাইবার জন্য । এই সকলের ইহলোকে যে কোন প্রকার ফল পাওয়া যায় না, এমন কথা আমরা বলি না । একাদশীব্রত করিলে শারীরিক স্বাস্থ্যলাভ করা যায়, এবং অন্তান্ত যাগযজ্ঞের ও ব্ৰতাদির কোন কোন প্রকার শারীরিক বা মানসিক ফল পাওয়া যাইতে পারে । তবে হিন্দুরা সচরাচর যে সকল ফল কামনা করিয়া এই সকল অনুষ্ঠান করেন, তাহ এ জন্মে পাওয়া যায় না বটে । ভরসা করি, এ টীকার এমন কোন পাঠক উপস্থিত হইবেন না, যিনি এ প্রশ্নের কোন উত্তর প্রত্যাশা করিবেঙ্গ । নেহাভিক্রমনাশোহস্তি প্রত্যবায়ো ন বিদ্যতে । স্বল্পমপ্যস্ত ধৰ্ম্মস্ত ত্রায়তে মহতো ভয়াৎ ॥ ৪e { এই ( কৰ্ম্মযোগে ) প্রারম্ভের নাশ লাই ; প্রত্যবয়ে নাই ; এ ধৰ্ম্মের অল্পতেই মহম্ভয় হইতে পরিত্রাণ পাওয়া যায় । জ্ঞান সম্বন্ধে এরূপ কথা বলা স্থায় না । কেন না, অল্পজ্ঞানের
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।