--.--ാ কষ্ট নাই । ভোগৈশ্বৰ্য্য প্রাপ্তির জন্ত ক্রিয়াবিশেষের বাহুল্য ঐ সকল বিধিতে আছে, এইমাত্র অর্থ। কথা এইরূপ । যাহার এই সকল কথা বলে, তাহার “বেদবাদরত ॥” বেদেই এই সকল কাম্যকৰ্ম্মবিষয়িণী কথা আছে— অস্তুতঃ তৎকালে বেদেই ছিল ; এবং এখনও ঐ সকল কৰ্ম্ম বেদমূলক বলিয়াই প্রসিদ্ধ ও অমুষ্ঠেয়। যাহার কাম্যকৰ্ম্মামুরাগী তাহারা বেদেরই দোহাই দেয়—বেদ ছাড়া “আর কিছু নাই” ইহাই বলে । অর্থাৎ বেদোক্ত কাম্যকৰ্ম্মাত্মক যে ধৰ্ম্ম, তাহা ভিন্ন আর কিছু ধৰ্ম্ম নাই, ইহাই তাহীদের মত । তাহার “কামাত্মা” বা কামনাপরবশ—“স্বৰ্গপর,” অর্থাৎ স্বৰ্গই তাছাদের পরষপুরুষাৰ্থ, ঈশ্বরে তাহাদের মতি নাই, মোক্ষলাভে তাহীদের অfকাজক্ষ নাই । তাহার ভোগ এবং ঐশ্বৰ্য্যে আসক্ত—সেই জন্তই স্বৰ্গকামনা করে, কেন ন। স্বর্গ একটা ভোগৈশ্বৰ্য্যের স্থান বলিয় তাহীদের বিশ্বাস আছে । কাম্যকৰ্ম্মবিষয়ক পুষ্পিত বাক্য তাহাঁদের মনকে মুগ্ধ করিয়া রাখিয়াছে। ঈদৃশ ব্যক্তিরা অবিবেকী বা মূঢ়। সমাধিতে—ঈশ্বরে চিত্তের যে অভিমুখত। বা একাগ্রতা–তাহাতে, এষম্বিধ বুদ্ধি নিশ্চয়াত্মিক হয় না । শ্লোকত্রয়ের অর্থ এক্ষণে আমরা বুঝিতে পারিতেছি। বেদে নfনাবিধ কাম্যকৰ্ম্মের বিধি আছে ; বেদে বলে যে সেই সকল বহু প্রকার কাম্যকৰ্ম্মের ফলে স্বর্গাদি ষহবিধ ভোগৈশ্বৰ্য্য প্রাপ্তি হর, সুতরাং আপাততঃ শুনিতে সে সকল কথা বড় মনোহারিণী। যাহারা কামনাপরায়ণ, আপনার ভোগৈশ্বৰ্য্য খুজে, সেই জন্তু স্বৰ্গাদি কামনা করে, তাহদের মন সেই সকল ফথায় মুগ্ধ হয় । তাহার কেবল বেদের দোহাই দিয়া বেড়ায়, বলে ইহা ছাড়
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।