శ్చితా &মদ্ভগবদগীতা ॥ আর ধৰ্ম্ম নাই। তাহারা মূঢ়। তাহদের বুদ্ধি কথন ঈশ্বরে একাগ্র হইতে পারে না । কেন না তাহদের বুদ্ধি “বহুশাখা” ও “অনন্ত৷” ইহা পূৰ্ব্বশ্লোকে কথিত হইয়াছে। কথাটা বড় তস্থানক ও বিস্ময়কর। ভারতবর্ষ, এই উনবিংশ শতাব্দীতেও বেদশাসিত। আজিও বেদের যে প্রতাপ, ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্টের তাহার সহস্রাংশের এক অংশ নাই। সেই প্রাচীনকালে বেদের আবার ইহার সহস্র গুণ প্রতাপ ছিল । সাংখ্যপ্রবচনকার ঈশ্বর মানেন না-ঈশ্বর নাই, একথা তিনি মুক্ত কণ্ঠে বলিতে সাহস করিয় ছেন, তিনিও বেদ অমান্য করিতে সাহস করেন না—পুনঃপুনঃ বেদের দোহাই দিতে বাধ্য হইয়াছেন । শ্ৰীকৃষ্ণ মুক্তকণ্ঠে বলিতেছেন, এই বেদবাদীরা মূঢ়, বিলাসী ; ইহার ঈশ্বরারাধনার অযোগ্য । ইহার ভিতর একটা ঐতিহাসিক তত্ত্ব নিহিত আছে। তাছ বুঝাইবার আগে, আর দুইটা কথা বলা অবিশুক। প্রথমতঃ, কৃষ্ণের ঈদৃশ উক্তি বেদের নিনা নহে, বৈদিককৰ্ম্মবাদীদিগের নিন্দা । যাহার কলে বেদোক্ত কৰ্ম্মই (যথা, অশ্বমেধাদি) ধৰ্ম্ম, কেবল তাহাই আচরণীয়, তাহাদেরই নিনা । কিন্তু বেদে যে কেবল অশ্বমেধাদি যজ্ঞেরই বিধি আছে, আর কিছু নাই, এমন নহে । উপনিষদে যে অত্যুন্নত ব্ৰহ্মবাদ অাছে, গীত সম্পূর্ণরূপে তাহার অনুবাদিনী, তছুক্ত জ্ঞানবাদ অনেক সময়েই গীতায় উদ্ভূত, সঙ্কলিত, ও সম্প্রসারিত হইয়া নিষ্কাম কৰ্ম্মবাদ ও ভক্তিবাদের সহিত সমঞ্জসীভূত হইয়াছে । অতএব কৃষ্ণের এতচুক্তিতে সমস্ত বেদের নিন্দ বিবেচনা করা অনুচিত। তবে, দ্বিতীর কথা এই বক্তব্য, যে র্যাহার বলেন, ষে ৰেদে যাহু আছে তাঁহাই ধৰ্ম্ম,
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।