দ্বিতীয় অধ্যায় { {{ আমরা তঁহার স্তায় লেখকের আত্মশ্লাঘ উদ্ধৃত করিতে কুষ্ঠিত শুইলাম না"। বেদ সম্বন্ধে শ্ৰীকৃষ্ণের যেরূপ মত আমরা বুঝিয়াছি বা বুঝাইয়াছি, তাহীর সঙ্গে দেশী মতের অপেক্ষা বিলাতী মতট বেশ সঙ্গ ত । তবে পাঠক ইচ্ছা করিলে শ্ৰীধর স্বামীকে এখানে বিলাতী দলে টানিয়া লইতে পারেন । এই শ্লোকে “শ্রীতিবি প্রতিপন্না” ভিন্ন অীর একটা মাত্র পদ বুঝাইবার প্রয়োজন । যাহাতে চিত্ত সমাহিত হয়, তাহাই “সমাধি” । এক্ষণে অনুবাদ পাঠ করিলে, পাঠক বোধ হয় শ্লোকার্থ বুঝিতে পরিবেন । অৰ্জুন উবাচ। স্থিত প্রজ্ঞস্য কী ভাষা সমাধিস্তস্য কেশব । স্থিতধীঃ কিং প্রভাষেত, কিমাসীত ব্ৰজেত কিম ॥৫৪ অৰ্জুন বলিলেন,— হে কেশব ! যিনি সমাধিস্থ হইয়া স্থিতপ্রজ্ঞ হইয়াছেন, তাহার কি লক্ষণ ? স্থিতধীব্যক্তি কি ৰলেন, কিরূপে অবস্থান করেন, কিরূপ চলেন ? ॥৫৪ ইতিপূৰ্ব্বে সাংখ্যযোগ কহিয়, ভগবান এক্ষণে অর্জুনকে কৰ্ম্মযোগ বুঝাইলেন । কৰ্ম্মযোগের শেষ কথা এই বলিয়াছেন, যে কৰ্ম্মফল সম্বন্ধে যাছা (বেদেই হউক, অন্যত্রই হউক) শুনিয়াছ, তাহাতে তোমার বুদ্ধি বিক্ষিপ্ত হইয়া আছে । ঘভদিন সেরূপ থাকিবে, ততদিন তুমি কৰ্ম্মযোগ প্রাপ্ত হইবে না । কিন্তু যখন
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৬৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।