& (ty গ্ৰীমদ্ভগবদগীতা । তোমার বুদ্ধি সমাধিতে ( পরমেশ্বরে ) স্থির হইবে, তখন তুমি যোগপ্রাপ্ত হইবে । যাহার এই রূপ বুদ্ধি স্থির হইয়াছে, তাহাকে স্থির প্রজ্ঞ বা স্থিতধী বলা যায় । অৰ্জ্জুন এক্ষণে সেই সমাধিস্থিত স্থিত প্রজ্ঞের লক্ষণ জিজ্ঞাসা করিতেছেন । শ্ৰীভগবাম্বুবাচ । প্রজহাতি যদা কামান সর্ববান পার্থ মনোগতান । আত্মন্ত্যেবাত্মন! তুষ্টঃ স্থিতপ্ৰজ্ঞস্তদোচ্যতে ॥ ৫৫ ৷ মথ ন স ক ল প্র কার মনোগত কামনা বজিত হয়, আপনাতে বা ম স্থাতে আপ’ন তুষ্ট থাকে, তথন স্থিত প্রতিজ্ঞ বলা যায় । ৫৫ ৷ কামনার পূরণেই মানুষের সুখ দেখিতে পাই । যে কামনা ত্যাগ করিল, তাহার আর কি সুখ রহিল ? শঙ্করাচার্য্য বলেন, পরমার্থদর্শন লাভে অন্য আনন্দ নিম্প্রয়োজন । বেদে তাদুশ ব্যক্তিকে “আত্ম রাম” বলা হইয়াছে । আমরা আর একটা সোজা উত্তরে সন্তুষ্ট । আমরা স্বীকার করি, পরমেশ্বরই আনন্দ । তিনি পরমানন্দ । কিন্তু বহির্জগৎও ঈশ্বর হইতে বিযুক্ত নহে । কামনাশূন্য হইলে বহিৰ্ব্বিষয়ে আনন্দ উপভোগ করা যাইবে না কেন ? যে কামনাশূন্য, সে কি জগতের সৌন্দৰ্ঘ্য দেখিয়া মুগ্ধ হয় না ? না জনাৰ্দ্দনে আনন্দ লাভ করে না ? না সৎকৰ্ম্মসম্পাদনে প্রফুল্ল হয় না ? কৰ্ম্মের অনুষ্ঠানই আনন্দময়—তাহার উপর সিদ্ধি ও অসিদ্ধি তুল্যজ্ঞ ন থাকিলে, সে আনন্দের আর কখন লাঘব হয় না। এবং এইরূপ আনন্দ আত্মাতেই ; কাহারও সাপেক্ষ নহে । যিনি এই কথাটা তলাইয়া না বুঝবেন, তিনি গীতাঁর এই
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৬৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।