দ্বিতীয় অধ্যায় } 4 মহাভারতকারের অনুবাদই এই শ্লোকের প্রচুর টাকা । “ আ স্নানfতমি রাবু তমতি ব্যক্তি দিগের নিশাস্বরূপ ব্রহ্মনিষ্ঠাতে জিতেন্দ্রিয় যোগিগণ জাগ্রত থাকেন । এবং প্রোণিগণ যে বিষয়নিষ্ঠ স্বরূপ দিবtয় প্রবোধিত থাকে, আত্ম তত্ত্বদশা যোগীদিগের সেই রাত্রি ।” _ আপুৰ্য্যমাণমচল প্রতিষ্ঠং সমুদ্রমাপঃ প্রবিশন্তি যদ্বৎ । তদ্বগু, কামা যং প্রবিশন্তি সর্বে স শান্তিমপ্নোতি ন কামকামী ॥ ৭০ ॥ যেমন পূৰ্য্যমান স্থির প্রতিষ্ঠ সমুদ্রে নদী সকল প্রবেশ করে, সেইরূপ ভোগ স ক ল যাচাতে প্রবেশ করে, তিনিই শাস্তি প্রাপ্ত হয়েন ; যিনি ভোগ সকলের কামনা করেন, তিনি R1 || সমুদ্র, জলের অন্বেষণে বেড়ায় না ; নদী সকল আপন হইতে জল লইয়া সমুদ্রে প্রবেশ করিয়া তাহাকে পরিপূর্ণ রাখে। তেমনি যিনি,ইক্রিয় স ক ল বশ করিয়াছেন, ভোগ সকলি আপনা হইতেই তাহাকে আশ্রয় করে ; সেই ফারণে তিনিই শাস্তি লাভ করেন । যিনি ইন্দ্রিয়তাড়িত স্থ তরাং কামনাপরবশ, তিনি সে শাস্তি কদাচ লাভ করিতে পারেন না । এখন ৫৬ শ্লোকের টীকায় বলিয়াছি, তাহা স্মরণ কর । কামনা পরিত্যাগই কৰ্ম্মফলজনিত সুখলাভের কারণ । কৰ্ম্মফলজনিত সুখ আসিয়া তাহাকে আপনি আশ্রয় করে ; তাদৃশ সুখই শাস্তিদায়ক । কামনাজনিত মুখে শাস্তি নাই ; সুতরাং সে সুখ সুখই নয় ।
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৭৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।