রাজন্তানাং শিতশরশতৈর্যত্র গাণ্ডীবধম্বা
ধারাপাতৈত্ত্বমিব কমলান্তভাবর্ষনমুখানি॥
কিন্তু মনুতে আবার অন্যপ্রকার আছে। যথা—
কুরুক্ষেত্রঞ্চ মৎস্যাশ্চ পঞ্চালাঃ শূরসেনকাঃ।
এষ ব্রহ্মর্ষিদেশো বৈ ব্রহ্মাবর্ত্তাদনন্তরঃ॥
অপেক্ষাকৃত আধুনিক সময়ে চৈনিক পরিব্রাজক হিউন্থসাঙ্ও ইহাকে স্বীয় গ্রন্থে “ধর্ম্মক্ষেত্র” বলিয়াছেন।[১]
কুরুক্ষেত্র আজিও পুণ্যতীর্থ বলিয়া ভারতবর্ষে পরিচিত; অনেক যোগী সন্ন্যাসী তথা পরিভ্রমণ করেন। কুরুক্ষেত্রে অনেক ভিন্ন ভিন্ন তীর্থ আছে। তাহার মধ্যে কতকগুলি মহাভারতের যুদ্ধের স্মারক স্বরূপ। যে স্থানে অভিমন্যু সপ্তরথিকর্ত্তৃক অন্যায় যুদ্ধে নিহত হইয়াছিলেন, সে স্থানকে এক্ষণে ‘অভিমন্যুক্ষেত্র’ বা ‘অমিন’ বলিয়া থাকে। সেখানে আজিও পুত্রহীনারা পুত্রকামনায় অদিতির মন্দিরে অদিতির উপাসনা করেন। যেখানে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে নিহত যোদ্ধাদিগের সৎকার সমাপন হইয়াছিল, ক্ষেত্রের যে ভাগ সেই বীরগণের অস্থিতে সমাকীর্ণ হইয়াছিল; এখনও তাঁহাকে ‘অস্থিপুর‘ বলে। যেখানে সাত্যকিতেও ভূরিশ্রবাতে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হয়, এবং অর্জ্জুন সাত্যকির রক্ষার্থ অন্যায় করিয়া তুরিশ্রবার বাহুচ্ছেদ করেন, সে স্থানকে এক্ষণে “ভোর” বলে। জনপ্রবাদ আছে যে ভুরিশ্রবার সালঙ্কার ছিন্ন হস্ত পক্ষীতে লইয়া যায়।
- ↑ M. Stanislaus Julien অনুবাদে লিখিয়াছেন, “Le champ du bonheur,’ অর্থাৎ ধর্ম্মক্ষেত্র।