তৃতীয় অধ্যায় । { কোন কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান না করিলেই কি নৈষ্কৰ্ম্ম্য প্রাপ্ত হইবে ? ন নৈষ্কৰ্ম্ম্যপ্রাপ্ত হইলেই সিদ্ধিপ্রাপ্ত হইবে ? কৰ্ম্মের অনঙ্গুষ্ঠানে কেন নৈষ্কৰ্ম্ম্যপ্রাপ্ত হইবে না, তাহা ভগবান বলিতেছেন, ন হি কশ্চিৎ ক্ষণমপি জাতু তিষ্ঠত্যকৰ্ম্মকৃৎ । কাৰ্য্যতে হ্যবশঃ কৰ্ম্ম সর্ববঃ প্রকৃতিজৈগুণৈঃ ॥ ৫ ৷ কেহই কখনও ক্ষণমাত্র কৰ্ম্ম না করিয়া থাকিতে পারে না । প্রকৃতিজ গুণে সকলেই কৰ্ম্ম করিতে বাধ্য হয় । ৫ । হে অৰ্জুন ! তুমি বলিতেছ, জ্ঞানের শ্রেষ্ঠত্ব সত্ত্বেও আমি তোমাকে কৰ্ম্ম করিতে বলিতেছি, কিন্তু কৰ্ম্ম না করিয়৷ থাকিতে পার কৈ ? প্রকৃতি ছাড়েন কৈ ? নিশ্বাস, প্রশ্বাস, অশন, শয়ন, স্নান, পান, এ সকল কৰ্ম্ম নর কি ? জ্ঞানমার্গালম্বী হইলে এ সকল ত্যাগ করা যায় কি ? জিজ্ঞাসু এখানে বলিতে পারেন যে, যে সকল কৰ্ম্ম প্রকৃতির বশ হইয়া করিতে হইবে, তাহ ত্যাগ কয় যায় না বটে ; কিন্তু যে সকল কাৰ্য্য আপনার ইচ্ছাধীন, তাহা কি জ্ঞানী বা সন্ন্যাসী পরিত্যাগ করিতে পারেন না ? ইছার সহজ উত্তর এই, তমুষ্ঠেয় কৰ্ম্ম কেহই পরিত্যাগ করিতে পারে না । ঈশ্বরচিস্তা স্বেচ্ছাধীন কৰ্ম্ম, ইহা কি জ্ঞানমাৰ্গাবলম্বী পরিত্যাগ করিতে পারে ? ভবে জ্ঞানের উদ্দেশু কি ? অনেকে বলিবেন, সাধারণভঃ যাঁহাকে কৰ্ম্ম বলে, তাহার কথা হইতেছে না। হিন্দুশাস্ত্রে শ্রেীত কৰ্ম্ম ও স্মাৰ্ত্ত কৰ্ম্মকেই
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।