❖ፂፁ” শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা । SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAMAMSAMMSJS ভূয়োভূয়ঃ দেখিব, গীতোক্ত ঈশ্বল্পারাধনাও তাই—সৰ্ব্বভুতে সমদৃষ্টি, সৰ্ব্বভুতে আত্মবৎ জ্ঞান, এবং সৰ্ব্বভূতের হিতসাধন । অতএব কৰ্ম্মযোগীর কৰ্ম্মের একমাত্র উদ্দেশু, সৰ্ব্বভূতের ছিতসাধন । ষে কৰ্ম্মকৰ্ত্ত সে নিজেও সৰ্ব্বভূতের অন্তর্গত । অতএৰ আত্মরক্ষা ও ঈশ্বরাভিপ্রে ও । জগদীশ্বর অtষ্মরক্ষার ভার, সকলকেই নিজের উপর দিয়াছেন । এ সকল কথা আমি সবিস্তারে ধৰ্ম্মতত্ত্বে বুঝাইয়াছি, পুনরুক্তির প্রয়োজন নাই । এই নবম শ্লোকে বলা হইতেছে, যে “যজ্ঞ” ( যে অর্থেই হউক ) ভিন্ন অন্তত্ব কৰ্ম্ম বন্ধন মাত্র । “বন্ধন” কি, এইট বুঝাইতে বাঞ্চি আছে । অন্তবিধ কৰ্ম্ম নিষ্ফল হয় বা পাপজনক এমন কথা বলা হইতেছে না-বলা হইতেছে তাহ বন্ধন স্বরূপ। এই বন্ধন বুঝিতে জন্মান্তরবাদ স্মরণ করিতে হইবে । কৰ্ম্ম করিলেই জন্মাস্তরে তাহার ফলভোগ করিতে হইবে । কৰ্ম্মফল—- সুফলই হউক আর কুফলই হউক, তাহা ভোগ করিবার জম্ভ, জীবকে জন্মান্তর গ্রহণ করিতে হইবে । যতদিন জন্মের পর জন্ম হইবে, ততদিন জীবের মুক্তি লাই। মুক্তির প্রতিবন্ধক বলিয়াই কৰ্ম্ম বন্ধন মাত্র। এক্ষণে জিজ্ঞাস্ত হইতে পায়ে,—যদি জন্মান্তর না থাকে ? তাছা হইলেও শীতোক্ত নিষ্কাম কৰ্ম্মই কি ধৰ্ম্মানুমোদিত ? ন নিষ্কাম কৰ্ম্মও যা, সকাম কৰ্ম্মও তা ? আমি ধৰ্ম্মতত্ত্বে এ কথার উত্তর দিয়াছি। নিষ্কাম কৰ্ম্ম ভিল্প মছুষ্যত্ব নাই । মনুষ্যত্ব ব্যতীত ইহজন্মে বা ইহলোকে স্থায়ী সুখ নাই । অতএব গীতোক্ত এই ধৰ্ম্ম বিশ্বজনীন। --م۔ مہمہ م۔م۔م.م.م. ----
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৮৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।