তৃতীয় অধ্যায়। *唤割 সহযজ্ঞাঃ প্রজাঃ স্বস্ট পুরোবাচ প্রজাপতিঃ। অনেন প্ৰসবিষ্যধ্বমেষ বোহস্তিষ্টকামধুক ॥ ১০ । পুৰ্ব্বকালে, প্রজাপতি প্ৰজাগণের সহিত যজ্ঞের সৃষ্টি করিয়া কহিলেন, “ইহার দ্বারা তোমরা বৰ্দ্ধিত হইবে, ইহা তোমাদিগের অভীষ্টপ্রদ হইবে । ১০ । এখানে যজ্ঞ’ শব্দে আর "ঈশ্বর” নহে বা ঈশ্বরীরাধনা নহে । কেবল যজ্ঞই অর্থাৎ শ্রেী ত স্মাৰ্ত্ত কৰ্ম্মই যজ্ঞ । এবং পরবর্তী ১২শ, ১৩শ, ১৪শ এবং ১৫শ শ্লোকেতে যজ্ঞ শব্দে কেবল ঐ যজ্ঞই বুঝায়। এক শ্লোকে একার্থে একটা শব্দ কোন অর্থবিশেষে ব্যবহৃত করিয়া, তাহার পর ছত্রেই ভিন্নার্থে কেহ ব্যবহার করে না। এজন্ত অনেক আধুনিক পণ্ডিত নবম শ্লোকে যজ্ঞার্থে যজ্ঞই বুঝেন। কাশীনাথ ত্ৰ্যম্বক তেলাঙ স্বকৃত অম্বুবাদে যজ্ঞার্থে sacrifice লিথিরাছেন । তাহার পর দশম শ্লোকের টীকায় fiftisticizo, "Probably the sacrifices spoken of in that passage ( azo cotto; ) must be taken to be the same as those referred to in this passage.” cefol সাহেব ও তৎপথাব লম্বী । শঙ্করের ভাষ্য দেখিয়াও গ্রাহ করেন নাই, মোটে এইরূপ ভাব ব্যক্ত করিয়াছেন। এ দিকে কামধুকের স্থানে Ramduk লিখিয়া বসিয়াছেন। একবার লহে, বার বার !!! এতক্ষণ ভগবান সকাম কৰ্ম্মের নিন্দ ও নিষ্কাম কৰ্ম্মের প্রশংসা করিতেছিলেন । কিন্তু যজ্ঞ সকাম । অতএব যজ্ঞার্থে ঈশ্বর না বুঝিলে ইহাই বুঝিতে হয়, ভগবান সকাম কৰ্ম্ম করিতে উপদেশ
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৯০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।