*** শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা । কাজ নহে। পক্ষান্তরে শাক্যসিংহের ধৰ্ম্ম, প্রাচীন ধৰ্ম্মের সঙ্গে কখনও যুদ্ধে প্রবৃত্ত হয় নাই । - গীতাকারও বৈদিক ধৰ্ম্মের প্রতি খড়্গহস্ত নহেন। তিনি জানিতেন যে তাহার কথিত নিষ্কাম কৰ্ম্মযোগ ও জ্ঞানযোগ, কখনও লৌকিক ধৰ্ম্মের সমস্ত স্থান অধিকার করিতে পারিবে না । তবে লৌকিক ধৰ্ম্ম বজায় থাকিলে, ইহার দ্বার প্রকৃষ্টরূপে সেই লৌকিক ধৰ্ম্মের বিশুদ্ধিসাধন হুইতে পারিবে। এজন্ত তিনি সম্বন্ধ বিচ্ছেদ করিতে ইচ্ছুক নহেন । যাহার বৈদিক ধৰ্ম্মের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ উপস্থিত করিয়াছিলেন, তাহার মধ্যে র্তাহাকে আমরা গণনা করিয়াছি । কিন্তু তাহার কৃত যে বিদ্রোহ, তাহার সীমা এই পৰ্য্যস্ত যে, বেদে ধৰ্ম্ম আছে, তাহ অসম্পূর্ণ ; নিষ্কাম কৰ্ম্মযোগাদির দ্বারা তাহ সম্পূর্ণ করিতে হইবে । এই জন্য তিনি বৈদিক সকাম ধৰ্ম্মকে নিকৃষ্ট বলিয়াছেন। কিন্তু নিকৃষ্ট বলিয়। যে তাহার কোনও প্রকার গুণ নাই, এমন কথা বলেন না । তাহার গুণ সম্বন্ধে এখানে গীতাকার যাই বলেন, বুঝাইতেছি। । যাহার কৰ্ম্ম কয়ে ( সকলেই কৰ্ম্ম করে ) তাহাদিগকে তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করা হইতেছে। প্রথম, যাহারা নিষ্কামকৰ্ম্ম, এবং যাহার নিষ্কাম কৰ্ম্মযোগের দ্বারা জ্ঞানমার্গে আরোহণ করিয়াছে, তাহীদের সপ্তদশ শ্লোকে “আত্মরতি” বা “আত্মারাম" বলা হইয়াছে। দ্বিতীয়, যাহার কেবল অাপন ইন্দ্রিয়স্কথের জন্ত কৰ্ম্ম করে । ষোড়শ শ্লোকে তাহাদিগের “ইন্দ্রিয়ারাম” বল। হইয়াছে। তদ্ভিন্ন দ্বিতীর শ্রেণীর লোক আছে, তাহারা প্রচলিত ধৰ্ম্মানুসারে যজ্ঞাদি কয়িয়া যজ্ঞাবশিষ্ট ভোজন করে । দশম হইতে পঞ্চদশ শ্লোকে তাহাদেরই কথা বলা হইল। তাহাদের i |
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২০১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।