তৃতীয় অধ্যায়। (t SS MM SSMMMMSMMMMMJJAMMMMMMMAM MMMAM MBMMMMMMJJMAJJMMAAASA SAASAASSAAAASSSS S S আপত্তি আছে । একটা আপত্তি এই ঃ—এই শ্লোকের পরবর্তী কয় শ্লোকে যজ্ঞ শব্দটা ব্যবহৃত হইয়াছে ; সেখানে যজ্ঞ শব্দে ঈশ্বর এমন অর্থ বুঝায় না । “সহযজ্ঞাঃ প্রজাঃ” “যজ্ঞভাবিতাঃ দেবtঃ” “ধজ্ঞশিষ্টাশিনঃ” “যজ্ঞকৰ্ম্মসমুদ্ভবঃ” “যজ্ঞে প্রতিষ্ঠিতম্” ইত্যাদি প্রয়োগে যজ্ঞ শব্দে বিষ্ণু বা ঈশ্বর বুঝাইতে পারে না । এখন ৯ম শ্লোকে যজ্ঞ শবদ এক অর্থে ব্যবহার করিয়া, তাহার পরেই দশম, দ্বাদশ, ত্রয়োদশ, চতুর্দশ, পঞ্চদশ শ্লোকে ভিন্নার্থে সেই শব্দ ব্যবহার করা নিতাস্ত অসম্ভব । সামান্ত লেখকও এরূপ করে না, গীতfপ্রণেতা যে এরূপ করিবেন, ইহা নিতাস্ত অসম্ভব । হর গীতাকৰ্ত্ত রচনায় নিতান্ত অপটু, নয় শঙ্করাদিকৃত যজ্ঞ শব্দে য় এই অর্থ ভ্রান্ত । এ দুইয়ের একটাও স্বীকার করা যায় না । বদি তা না যায়, ভবে স্বীকার করিতে হইবে যে, হয় নবম হইতে পঞ্চদশ পর্য্যস্ত একার্থেই যজ্ঞ শব্দ ব্যবহৃভ হইয়াছে, নয় নবম শ্লোকের পর একটা জোড়াতাড়া আছে । প্রথমতঃ দেখা যাইতেছে, যজ্ঞ বিষ্ণুর নাম নয়। অতিধানে কোথাও নাই যে যজ্ঞ বিষ্ণুর নাম । কোথাও এমন প্রয়োগও নাই । ‘হে যজ্ঞ P বলিলে কেহই বুঝিবে না যে ‘হে বিষ্ণে। ’ বলিয়া ডাকিতেছি। “বিষ্ণুর দশ অবতার” এ কথার পরিষর্তে কখনও বল্লা যায় না যে “যজ্ঞের দশ অবতার”। “যজ্ঞ, শঙ্খচক্রগদাপদ্মধারী বনমালী” বলিলে, লোকে হাসিবে । তবে শঙ্করাচার্য্য কেন বলেন, যে যজ্ঞার্থে বিষ্ণু ? কেন বলেন, তাছা তিনি । বলিয়াছেন। “যজ্ঞে বৈ বিষ্ণুরিতি শ্রীতেঃ” যজ্ঞ বিষ্ণু ইছ বেদে অাছে ।
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২০৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।