ఇడా ఆ শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা ॥ এক্ষণে কথিত হইতেছে যে কৰ্ম্ম না থাকিলেও তাহাদের কৰ্ম্ম কর। কৰ্ত্তব্য । কেন না, তাহার কৰ্ম্ম না করিলে, সাধারণ লোক যাহার। তাত্মজ্ঞানী নহে, তাহারাও র্তাহাদের দৃষ্টাস্তের অক্ষবর্তী হইয়া কৰ্ম্ম হইতে বিরত হুইবে । কৰ্ম্ম হইতে বিরত হইলে, স্ব স্ব ধৰ্ম্ম হইতে বিচ্যুত হইবে । অতএব সকলেরই কৰ্ম্ম কর। কর্তব্য । ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির জ্ঞানমাৰ্গাবলম্বী ছিলেন । জ্ঞানমার্গাবলম্বীর কৰ্ম্ম নাই ইহা স্থির করিয়া তাহারা কৰ্ম্মে বীতশ্রদ্ধ ছিলেন । এবং সেই দৃষ্টাস্তের আহ্ববৰ্ত্তী হইরা সমস্ত ভারভবর্ষই কৰ্ম্মে অমুরগিশূন্ত সুতরাং অকৰ্ম্ম লোকের দ্বারা পরিপূর্ণ হুইয়। এই অধঃপতনদশ। প্রাপ্ত হুইয়াছে । ভগবান উপরিলিখিত যে মহাবাক্যের দ্বার। কৰ্ম্মবাদ ও জ্ঞানবাদের সামঞ্জস্য বা একীকরণ করিলেন, ভারতবর্ষীয়ের তাহ স্মরণ রাখিলে, তদক্ষুবত্তী হুইয়া কৰ্ম্ম করিলে, জ্ঞান ও কৰ্ম্ম উভরই তাহদের তুল্যরূপে উদ্দেশু হইলে, র্তাহারা কখনই আজিকার দিনের সভ্যভর জাতি হইতে নিকৃষ্টদশাগ্ৰস্ত হইতেন না—পরাধীন, পরমুথপ্রেক্ষী, পরজাভিদত্তশিক্ষাবিপদগ্ৰস্ত হইতেন না । শ্ৰীকৃষ্ণ যে কেবল এই গীতাতেই কৰ্ম্মের মহিমা কীৰ্ত্তিত করিয়াছেন, এমত নহে। মহাভারতে উদ্যোগপর্বে সঞ্জয়যানপৰ্ব্বাধ্যারেও তিনি ঐক্কপ করিয়াছেন, ভাহা গ্রন্থাস্তরে উদ্ধৃত করিয়াছি, এখানেও উদ্ধৃত করিলাম — “শুচি ও কুটুম্বপরিপালক হুইয়া বেদাধ্যরন করত জীবন যাপন করিবে, এইরূপ শাস্ত্রনির্দিষ্ট বিধি বিদ্যমান থাকিলেও ৰাহ্মপগণের নানাপ্রকার বুদ্ধি জন্মিয় থাকে। কেহ কৰ্ম্মবশতঃ,
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২১১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।