তৃতীয় অধ্যায় । ఫిaరి এবং জগৎ চলিবার নিয়মও করিয়াছেন, সেই নিয়মের বলে জগৎ চলিতেছে ; তাহাতে র্তাহীর হস্তক্ষেপণের কোনও প্রয়োজন নাই। এজন্ত র্তাহার কৰ্ম্ম নাই । তবে তিনি যদি মনুষ্যত্বের অাদর্শ প্রচার জন্ত ইচ্ছাক্রমে মনুষ্যশরীর ধারণ করেন, তাহ ছইলে, তিনি মনুষ্যধৰ্ম্মী বলিয়। তাহার কৰ্ম্মও আছে। যদিও তিনি নিজের ঐশী শক্তির দ্বারা সকল প্রয়োজন সিদ্ধ করিতে পারেন, তথাপি মনুষ্যধৰ্ম্মিত্বহেতু কৰ্ম্মের দ্বারাই তাহাকে প্রয়োজন সিদ্ধ করিতে হয় । তিনি আদর্শ মনুষ্য, কাজে কাজেই তিনি আদর্শ কৰ্ম্মী । অতএব তিনি কদাচ আলস্তাপরবশ হইয়া কৰ্ম্ম না করিলে, লোকেও আদর্শ মনুষ্যের দৃষ্টান্তের অনুবর্তনে অলস ও কৰ্ম্মে অমনোযোগী হইবে । যে অলস ও কৰ্ম্মে অমনোযোগী, সে উৎসন্ন যায়। তাই ভগবান পুনশ্চ বলিতেছেন— উৎসীদেয়ুরিমে লোক ন কুৰ্য্যাং কৰ্ম্ম চেদহম । সঙ্করস্ত চ কৰ্ত্ত স্যামুপহন্ত:মিমাঃ প্রজীঃ ॥ ২৪ ॥ ষদি অামি কৰ্ম্ম না করি, তাহ হইলে এই লোক সকল আমি উৎসন্ন দিব । সঙ্করের কৰ্ত্ত হইব এবং এই প্রজা সকলের মালিহ্যহেতু হইব । ২৪ । ভাব্যকারের এই সঙ্কর শব্দে বর্ণসঙ্করই বুঝিয়াছেন। হিন্দুর জাতিগত বিশুদ্ধিরক্ষার জন্ত অতিশয় যত্নশীল ; এজন্ত বর্ণসঙ্কর একটা কদৰ্য্য সামাজিক দোষ বলিয়া প্রাচীন হিন্দুদিগের বিশ্বাস । মনু বলেন, নিকৃষ্ট বর্ণসঙ্কর জাতি রাজ্যনাশের কারণ, এবং এই গীতাতেই আছে,— “সঙ্করো নরকায়ৈব কুলস্নানাং কুলগু চ।”
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।