ఇe s শ্ৰীমদ্ভগবদগীত । যাহার শরীর হইতে ভিন্ন আত্মা মানেন না, তাহার উপরিব্যাখ্যাত দুই শ্লোকের অর্থ বুঝিবেন না । ঐ দুই শ্লোক এবং তৎপুৰ্ব্বে বিদ্বান এবং অবিদ্বান জ্ঞানী অজ্ঞান ইত্যাদি শব্দ যে ব্যবহৃত হইয়াছে, সে কেবল এই আত্মজ্ঞান লইয়। র্যাহার আত্মজ্ঞান আছে, অর্থাৎ যিনি জানেন যে শরীর হইতে পুথক অবিনাশী অত্মা আছেন, তাহাকেই বিদ্বান বা জ্ঞানী বলা হইতেছে । বলা হইতেছে যে অবিদ্বান বা অজ্ঞানেরা কৰ্ম্মে আসক্ত বা ফলকামনাবিশিষ্ট্র, এবং বিদ্বান জ্ঞানীরা কৰ্ম্মে অনাসক্ত ব ফলকামনাশ্বন্ত । কিন্তু এই প্রভেদ ঘটে কেন ? অস্বাস্তান থাকিলেই ফলকগমন পরিত্যাগ করে, এবং আত্মজ্ঞান না থাকিলেই ফলকামনাবিশিষ্ট হয়, এই প্রভেদ ঘটে কেন, তাহাই এই দুই শ্লোকে বুঝান হইতেছে । ষ্টক্রিয়ের ঘাহা ভোগ্য, তাহাকেই বিযয় বলে । কেন না, তাহাই ইন্দ্রিয়ের বিষয় । ইন্দ্রিয়ে ও বিষয়ে যে সংযোগ সংঘটন, তাহাঁই কৰ্ম্ম । যুঁtহার আiফুজ্ঞান নাই, যে আত্মীয় অস্তিত্ব অবগত নহে, সে জানে যে ইন্দ্রিয়ে ও বিষয়ে যে সংঘটন, তাহা তামা হইতেই ঘটিল ; অতএব আমিই কৰ্ম্মের কৰ্ত্ত । “আমিই কৰ্ম্মের কৰ্ত্তী” এই বিবেচনাই অহঙ্কার । সে বুঝে ৰে অামি কৰ্ম্ম করিয়াছি, এজন্ত আমিই কৰ্ম্মের ফলভোগ করিব , তাই সে ফলকামনা করে । আর র্যtহার অtষ্মজ্ঞান আছে, তাত্মার অস্তিত্বে বিশ্বাস আছে, ইন্দ্রিয় সকল আtষ্মীর কোন অংশ নহে ইহা যাহার বোধ আছে, তিনি জানেন যে ইন্দ্রির বা প্রকৃতিই কৰ্ম্ম করিল। কেন না, তদুীরাই বিষয়ের সহিত ইন্দ্রিয়ের সংযোগ সংঘটিত হইল । আত্মা কৰ্ম্ম কয়েন লাই, সুতরাং আত্মা তাহার ফলভাগী নহেন । আত্মাই অামি, অতএব
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।