总坠翻 শ্ৰীমদ্ভগবদগীত।। যেমন ধুমে বহি আবৃত, মলে দর্পণ এবং গর্ভ জরায়ুর দ্বারা আবৃত থাকে, তেমনই কামের দ্বারা (জ্ঞান) আবৃত থাকে । “জ্ঞান” শব্দটা মুলে নাই,--তৎপরিবর্তে “ইদম” আছে। কিন্তু পরশ্লোকে “জ্ঞান” শব্দই আবৃতের বিশেষ্য ; এজন্য এ শ্লোকের অসুবাদেও সেইরূপ করা গেল । ৩৩শ শ্লোকে কথিত হইয়াছে যে জ্ঞানবানও আপন প্রকৃতির অনুরূপ চেষ্টা করে । “সদৃশং চেষ্টতে স্বস্তাঃ প্রকৃতেজ্ঞানবানপি” জ্ঞানবান জ্ঞান থাকিতে কেন এরূপ করে ? তাঁহাই বুঝাইবার জন্ত বলিতেছেন যে জ্ঞান এই কামের দ্বারা আবৃত থাকে ; জ্ঞান এ অবস্থায় অকৰ্ম্মণ্য হয় । উপমা তিনটা অতি চমৎকার ; কিন্তু উপমার কৌশল বুঝাইবার পূৰ্ব্বে বলা আবগুক । “মল” শব্দে শঙ্করাচাৰ্য্য “মল” “ অর্থাৎ “মলাই” বুঝিয়াছেন । কিন্তু স্ত্রীধর স্বামী বলেন, “মলেন” কিনা আগস্তুকেন” । এ অবস্থায় দৰ্পণস্থ প্রতিবিম্ব যে “মল” শব্দের অভিপ্রেত, ইহাই বুঝিতে হুইতেছে । - উপম তিনটীর প্রতি দৃষ্টি করা বাউক । যাহ উপমিত, এবং যাহ। উপমেয়, উভয়ই স্বাভাবিক । বহ্নির স্বাভাবিক আবরণ ধুম ; দপণ থাকিলেই ছায়া বা প্রতিবিম্ব থাকিবে, নহিলে দৰ্পণত্ব নাই ; এবং গর্ভেরও স্বাতবিক অবিরণ জরায়। তেমনই জ্ঞানের আবরণ কামও স্বাভাবিক। ইহা পুৰ্ব্বেই কথিত আছে। উপমেয় ও উপমিত উভয়ই প্রকাশাত্ম ; বহ্নি প্রকাশাত্মক, দর্পণ প্রকাশাত্মক, গর্ত প্রকাশাত্মক - তেমনই জ্ঞানও প্রকাশাত্মক । প্রকাশের জন্ত প্রয়োজন, ক্রিয়ারিশেষ। ফুৎকারাদির দ্বারা
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।