আরোপিত হইয়াছে, তাহ অপেক্ষাকৃত আধুনিক । দ্বিতীয়তঃ মহাভারতে দশ অবতায়ের কথা মাত্র নাই, এবং ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম অষ্টম অবতীর শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে একত্র বিদ্যমান । তৃতীয়তঃ দশ অবতারের কথ। অপেক্ষাকৃত আধুনিক পুরাণগুলিতে আছে ; কিন্তু পুরাণে আবার ভিন্ন প্রকার ও আছে। ভাগবতে আছে, অবতার বাইশটী ; আবার এ কথাও আছে যে অবতার অসংখোয় । শ্ৰীকৃষ্ণও এখানে আটটা কি দশটা কি বাইশটার কথা বলিতেছেন না । “বহু” অবতারের কথা বলিতেছেন । ভাগবতের “অসংথ্যেয়” এবং এই “বহু” শব্দ একীৰ্থবাচক সন্দেহ নাই । অজোছপি সন্নব্যয়াত্মা ভূতানামীশ্বরোহপি সন । প্রকৃতিং স্বামধিষ্ঠায় সস্তুবাম্যাক্সমায়য় ॥ ৬ । আমি অজ ; আমি অব্যয়াত্মা ; সৰ্ব্বভূতের ঈশ্বর , তাহা হইয়াও আপন প্রকৃতি বশীকৃত করিয়া আপন মায়ার জন্মগ্রহণ করি । অজ—জন্মরহিত অব্যয়াত্মা—যাহার জ্ঞানশক্তির ক্ষর নাই (শঙ্কর ) ঈশ্বর-কৰ্ম্মপারতন্ত্র্য-রহিত ( শ্রীধর ) প্রকৃতি-ত্রিগুণাত্মিক মায়া, সৰ্ব্ব জগৎ যাহার বশীভুত । এতদ্ব্যতীত মূলে যে “অধিষ্ঠায়” শব্দ আছে, শঙ্করাচাৰ্য্য তাহার অর্থ “বশীকৃত্য” লিখিয়াছেন, কিন্তু শ্ৰীধরস্বামী “স্বীকৃত্য” লিখিয়tছেন। শঙ্কল্পকৃত ব্যাখ্যা অধিকতর সঙ্গত বলিয়া গ্ৰহণ করা গিয়াছে । স্থল কথা এই যে, ভগৱানের কথায় এই আপত্তি হইত্তে
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২৩৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।