চতুর্থ অধ্যায়। ఇన్ని& পারে, যিনি জন্মরহিত, তাহার জন্ম হইল কি প্রকারে ? জ্ঞানে মোক্ষ --ঘfছার জ্ঞান অক্ষয়, তাহার জন্ম হুইবে কেন ? জন্ম কৰ্ম্মাধীন,—যিনি ঈশ্বর, এজন্ত কৰ্ম্মের অনধীন, তাহার জন্ম কেন ? উত্তরে ভগবান্ যtছ। বলিয়াছেন, শঙ্করাচার্য তাঁহার এইরূপ অর্থ করিয়াছেন । আমার যে স্বপ্রকৃতি, অর্থাৎ সত্ত্বরজস্তম ইতি ত্ৰিগুণাত্মিক বৈষ্ণবী মায়া, সমস্ত জগৎ যাহার বশে আছে, যদ্বারা মোহিত হইয়া আমাকে বাসুদেব যলিয়া জানিতে পারে লা, সেই প্রকৃতিকে বশীভূত করিয়া আমি জন্মগ্রহণ করি । আপনার মায়ায়, কি না, সাধারণ লোক যেমন পরমার্থনিবন্ধন জন্মগ্রহণ করে, এ সেরূপ নহে ॥ শ্ৰীধর স্বামী একটু ভিন্ন প্রকার অর্থ করিয়াছেন। তিনি বলেন, ভগবান বলিতেছেন, ষে আমি আপনার শুদ্ধস্বত্বাত্মিক প্রকৃতি স্বীকার করিয়া, বিশুদ্ধ উজ্জ্বল স্বত্বমূৰ্ত্তির দ্বারা স্বেচ্ছাক্রমে অবতীর্ণ হুই । কথাগুলি বড় জটিল , পাঠকের বুঝিবার সাহায্যাৰ্থ দুই একটী কথা বলা উচিত । “মায়া” ঈশ্বরের একটা শক্তি। এই মায়া, হিন্দুদিগের ঈশ্বর তত্ত্বে, বিশেষতঃ উপনিষদে ও দর্শনশাস্ত্রে অতি প্রধান স্থান প্রাপ্ত হইয়াছে। সাধারণতঃ বেদান্তে মায় কিরূপে পরিচিত হইয়াছে, তাহ অনুসন্ধান করিবার আমাদের প্রয়োজন নাই । এই গীতাভেই মীয়া কিরূপ বুঝান হইমাছে, তাঁহাই বুঝাইতেছি । পাঠকের স্মরণ থাকিতে পারে, যে তৃতীয় অধ্যায়ের ৪২ শ্লোকের টীকায় আমরা গীতার সপ্তম অধ্যায় হইতে এই শ্লোকটী উদ্ধৃত করিয়াছিলাম — з е
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২৩৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।