চতুর্থ অধ্যায়। ఇవీs মহৎ ফলের আশা না করিয়া, লোকে সামান্ত ফলের চেষ্টা করে কেন ? ইহঁ। মমুষ্যের স্বভাব, যে যে মুখ শীঘ্র পাওয়া যাইবে, তাহা ক্ষুদ্র হইলেও, মনুষ্য তাঁহারই চেষ্টা করে । চাতুর্বর্বর্ণ্যং ময় স্বস্টং গুণকৰ্ম্মবিভাগশঃ । তস্য কৰ্ত্তারমপি মাং বিদ্ধ্যকৰ্ত্তীরমব্যয়ম ॥ ১৩ ॥ গুণ ও কৰ্ম্মের বিভাগ অনুসারে আমি চারি বর্ণ হষ্টি করিরাছি বটে, কিন্তু আমি তাহার ( স্বষ্টি )কর্তা হইলেও আমাকে অকৰ্ত্ত ও বিকার-রহিত জানিও । ১৩ । হিন্দুশাস্ত্রের সাধারণ উক্তি এই যে, ব্রাহ্মণবর্ণ স্বষ্টিকৰ্ত্তার মুখ হইতে, ক্ষত্রিয় বাহু হইতে, বৈশু উরু হইতে, এবং শূদ্র চরণ হইতে স্বঃ হয় । কিন্তু গুণকৰ্ম্মবিভাগশঃ চাতুৰ্ব্বণ্য স্বল্প হইয়াছে, এই কথা হিন্দুশাস্ত্রের কথিত সাধারণ উক্তির সঙ্গে আপাততঃ সঙ্গত বোধ হয় না। নানা কারণে এ কথাটার বিস্তারিত বিচার অবিশ্রাক । প্রথমতঃ দেখা যায়, হিন্দুশাস্ত্রের কথিত সাধারণ উক্তির আদি বিখ্যাত পুরুষস্থক্তে । ঋগ্বেদসংহিতার দশম মণ্ডলের নবতিতম স্বত্তকে পুরুষসূক্ত কহে । উহার প্রথম ঋক্ “সহস্রশীর্ষ পুরুষঃ সহস্রাক্ষঃ” ইত্যাদি ব্রাহ্মণগণ আজিও বিষ্ণুপুজাকালে প্রয়োগ করিয়া থাকেন। পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ—যাহারা প্রতিপন্ন করিতে চাহেন যে বৈদিক কালে জাতিভেদ ছিল না,—তাহারা বলেন যে এই স্বত্ত আধুনিক। আমাদের সে বিচারে প্রয়োজন নাই । বৈদিক স্বক্ত পবই অতি প্রাচীন ইহা কোন মতেই অস্বীকার করা যায় না ।
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।