চতুর্থ অধ্যায় । శిధి মধুসূদন সরস্ব তীও “লোকশিক্ষাৰ্থং” ও “জীবনযাত্রার্থং” কথা দুইটা রাখিয়াছেন, কিন্তু কামসঙ্কল্পবৰ্জিত” পদের তিনি যে ব্যাখ্যা করিয়াছেন, তাহা পাঠক নিঃসঙ্কোচে গ্রহণ করিতে পারেন। কলতৃষ্ণ এবং অহঙ্কাররহিত যে কৰ্ম্মাহুষ্ঠান, তাহাই বিহিত, এবং তাছাই কৰ্ম্মশূন্ততা । সচরাচর লোকে ফল কামনাতেই কৰ্ম্মানুষ্ঠানে প্রবৃত্ত হয়--- এবং আমি এই কৰ্ম্ম করিতেছি, বা করিয়াছি, এই অহঙ্কার তাহার সঙ্গে সঙ্গে থাকে । ভগবদভিপ্রায় এই যে কুইয়ের অভাবই কৰ্ম্মের লক্ষণ, কৰ্ম্মে তদুভয়ের অভাবই কৰ্ম্মশূন্তত । এইরূপ বুঝিলেই কি আপত্তির মীমাংসা হইল ? হইল বৈ কি ? ফলকামনাতেই লোকে সচরাচর কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হয় বটে, কিন্তু ফলকামনা ব্যতীত যে কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হওয়া যায় না, এমন নহে । বদি তাই হই ত, তাহ হইলে নিষ্কাম শব্দের অর্থ নাইএমন বস্তুর অস্তিত্ব নাই । বদি তাই হইত, তাহা হইলে গীতার এক ছত্ৰেয়ও কোন মানে নাই। কথাটা পূৰ্ব্বে বুঝান হয় নাই । এখন বুঝান যাউক । কতকগুলি কাৰ্য্য আছে, যহি মঙ্গুষ্যের অমৃষ্ঠেয় । যে সে কৰ্ম্মের কলকামনা করে না, তাহারও পক্ষে অমুষ্ঠেয় । এমন মনুষ্য অাছে সন্দেহ নাই, যে জীবন রক্ষা কামনা কল্পে ন – মরিতে পারিলেই তাহার সব যন্ত্রণ ফুরায় । কিন্তু আত্মজীবন রক্ষা তাহার অনুষ্ঠেয় । যে শূল রোগী আত্মহত্যা করে, সে পাপ করে সন্দেহ নাই । শত্রুর জীবনরক্ষা সচরাচর কেহ কামনা করে না, কিন্তু শক্র মজ্জনোমুখ, বা অন্ত প্রকারে মৃত্যুকবলগ্ৰস্তপ্রায় দেখিলে তাহার রক্ষা আমাদের অনুষ্ঠেয় কৰ্ম্ম । শক্রকে
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২৫৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।