পাতা:শ্রীমদ্‌ভগবদ্‌গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অধ্যায়। so হে কেশব ! আমি আর থাকিতে পারিতেছি না, আমা মন যেন ভ্রান্ত হইতেছে, আমি দুলক্ষণ সকল দর্শন করিতেছি ॥৩০ ন চ শ্রেয়োহুমুপশ্যামি হত্বা স্বজনমাহবে । ন কাঙেক্ষ বিজয়ং কৃষ্ণ ন চ রাজ্যং স্থখানি চ ॥ ৩১ ॥ যুদ্ধে আত্মীয়বর্গকে বিনাশ করায় আমি কোন মঙ্গল দেখি না-হে কৃষ্ণ ! আমি জয় চাহি না, রাজ্য সুখ চাহি না । ৩১ ৷ | কিং নে রাজ্যেন গোবিন্দ কিং ভোগৈৰ্জাবিতেন বা । যেষামর্থে কাঙিক্ষতং নে রাজ্যং ভোগাঃ সুখানি চ ॥৩২ তইমেহবস্থিত। যুদ্ধে প্রাণাংস্ত্যক্ত ধনানি চ। আচাৰ্য্যাঃ পিতরঃ পুত্রাস্তথৈব চ পিতামহাঃ ॥ ৩৩ ৷৷ মাতুলাঃ শ্বশুরাঃ পৌত্রাঃ শ্যালাঃ সম্বন্ধিনস্তথা । এতান্ন হস্তমিচ্ছামি তোহপি মধুসূদন ॥ ৩৪ ৷ যাহাদিগের জন্ত রাজ্য, ভোগ, সুখ, কামনা করা যায়, সেই আচাৰ্য্য, পিতা, পুত্র, পিতামহ, মাতুল, শ্বশুর, পৌত্র, শ্যালা, এবং কুটুম্বগণ, যখন ধন প্রাণ ত্যাগ করিয়া এই যুদ্ধে অবস্থিত, তখন হে গোবিন্দ । আমাদের রাজ্যেই কাজ কি, ভোগেই কাজ কি, জীবনেই কাজ কি ? হে মধুসুদন ! আমি হত হই হইব, তথাপিও তাহাদিকে মারিতে ইচ্ছা করি না । ৩২৩s॥৩৪ । “আমি হত হই হইব (স্বতোপি)” কথার তাৎপৰ্য্য এই যে “আমি না মারিলে তাহার। আমাকে মারিয়া ফেলিতে পারে বটে । যদি তাই হয়, সেও ভাল, তথাপি আমি তাহাদিগকে মারিব না। বস্তুত: ভীষ্ম, দ্রোণের সহিত অর্জন এই ভাবেই যুদ্ধ করিয়া