একাদশ আধ্যায় । ళొt রক্ষাংসি ভীতানি দিশে ভ্ৰবন্তি সর্বের্ব মমস্তান্তি চ সিদ্ধসঙ্ঘাঃ ॥ ৩৬ ৷৷ অৰ্জুন কহিলেন । হে হৃষীকেশ ! তোমার নাম কীৰ্ত্তন করিলে সকলে যে নিতান্ত হৃষ্ট ও একান্ত অসুরক্ত হইয়া থাকে, সিদ্ধগণ যে নমস্কার করিয়া থাকেন এবং এবং রক্ষিসেরা যে ভীত হইয়। চতুর্দিকে পলায়ন করিয়া থাকে তাহ যুক্তিযুক্ত । ৩৬ । কস্মাচ্চ তে ন নমের মহাত্মন গরীয়সে ব্রহ্মণোইপ্যাদিকৰ্ত্তে । অনন্ত দেবেশ জগন্নিবাস ত্বমক্ষরং সদসত্তৎপরং যৎ, ॥ ৩৭ ৷৷ হে মহাত্মন! হে অনন্ত ! হে দেবেশ ! হে জগন্নিবাস । তুমি ভগবান ব্ৰহ্মা অপেক্ষ গুরুতর ও তাহার আদি কৰ্ত্ত এবং বাক্ত ও অব্যক্তের মুল কারণ অবিনাশী ব্রহ্ম, এই নিমিত্তই সকলে তোমাকে নমস্কার করিয়া থাকে । ৩৭ ৷ ত্বমাদিদেবঃ পুরুষঃ পুরাণত্বমস্য বিশ্বস্ত পরং নিধানম । বেত্তাসি বেদ্যং চ পরং চ ধাম . ত্বয়া ততং বিশ্বমনস্তরূপ ॥ ৩৮ ॥ হে অনন্তরূপ । তুমি আদিদেব, পুরাতন পুরুষ ও বিশ্বের একমাত্র নিধান । তুমি বিশ্বের জ্ঞাত, জ্ঞাতব্য ও পরম ধাম । তুমি এই বিশ্বের সর্বত্রই বিরাজমান আছ। ৩৮
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।