* ২২ ड्रीमद्भुर्णरुनौज्री । কিন্তু সেই বৃদ্ধ তীয় যুবার অপেক্ষপও উদ্যমশীল—তিনি সেই সময়ে সিংহনাদ করিয়া শঙ্খধ্বনি করিলেন—(শঙ্খ তখনকার bugle ) । তাহার শঙ্খধ্বনি শুনিয়া উৎসাহে বা প্রত্যুত্তরে উভয় সৈন্তস্থ যোদ্ধগণ সকলেই শঙ্খধ্বনি করিলেন। তখন উভয়দলে নানাবিধ রণবাদ্য বাজিয়া উঠিল—শঙ্খে, ভেরীতে, অন্যান্ত বাদ্যের কোলাহলে, গগন বিদীর্ণ হইল—আকাশ পৃথিবী তুমুল হইয়া উঠিল। সেই মহোৎসাহের সময়ে স্থিরচিত্ত অর্জুন— যাহার উপরে কৌরব-জয়ের ভার—আপনার সারথি কৃষ্ণকে বলিলেন—“একবার উভয় সেনার মধ্যে রথ রাখ দেখি-দেখি কাহার সঙ্গে আমায় যুদ্ধ করিতে হইবে।” কৃষ্ণ, শ্বেতাশ্বযুক্ত মহারথ উভয় সেনার মধ্যে স্থাপিত করিলেন,—সৰ্ব্বজ্ঞ সৰ্ব্বকৰ্ত্তা বলিলেন, “এই দেথ ।” অৰ্জুন দেখিলেন দুই দিকেই ত , আপনার জন,—পিতৃধ্য, পিতামহ, পুত্র, পৌত্র, মাতুল, শ্বশুর, শু্যালক, স্বহৃৎ, সখী—র্তাহার গা কঁাপিয়া উঠিল, শরীরে রোমাঞ্চ হইল, মুখ শুকাইল, দেহ অবসন্ন হইল, মাথা ঘুরিল, হাত হুইতে সেই মহাধনু গাণ্ডাব খসিয়া পড়িল। বলিলেন, “কৃষ্ণ । রাজ্য যাদের জন্ত, তাদের মারিয়া রাজ্যে কি ফল ? —অামি যুদ্ধ করিব না।” এই সংগ্রামক্ষেত্র, ছুই দিকে দুই মছতী সেন, এই তুমুল কোলাহল, রণবাদ্য এবং ঘোরতর উৎসাহ-সেই সমন্থে এই মহাবীরের প্রথমে স্থৈৰ্য্য তার পর তাহার হৃদয়ে সেই করুণ এবং মহান প্রশাস্ত ভাব—এরূপ মহচ্চিত্রে সাহিত্যজগতে দুর্লভ। “ন কাজে বিজয়ং কৃষ্ণ নচ রাজ্যং স্থখানি চ”— ঈদৃশী অমৃতময়ী বাণী আর কে কোথায় শুনিয়াছে ? -ജ്-ബ
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।