দ্বিতীয় শুল্বখ্যার । ఇe (৩) সংস্কৃত সকল গ্রন্থে মধ্যে মধ্যে প্রক্ষিপ্ত শ্লোক পাওয়। যায়। শঙ্করাচার্য্যের ভাধ্য প্রণীত হইবার পর কোন শ্লোক গীতায় প্রক্ষিপ্ত হইতে পারে নাই, তাহার ভায্যের সঙ্গে এখন প্রচলিত মূলের ঐক্য আছে। কিন্তু শঙ্করাচার্য্যের অনুনি সহক্স বা ততোধিক, বৎসর পূৰ্ব্বেও গীত প্রচলিত ছিল । এই কাল মধ্যে যে কোন শ্লোক প্রক্ষিপ্ত হয় নাই তাঁহা কি প্রকারে বলিব ? আমরা মধ্যে মধ্যে এমন শ্লোক পাইব, যাহা প্রক্ষিপ্ত বলিয়াই বোধ হয় । এই সকল কথা স্মরণ না রাখিলে আমরা গীতার প্রকৃত তাৎপৰ্য্য বুঝিতে পারিব না। এ জন্ত আগেই এই কয়ট কথা বলিয়া রাখিলাম। এক্ষণে দেখা যাউক, শ্ৰীকৃষ্ণ অর্জুনকে এই যুদ্ধের ধৰ্ম্ম্যতা বুঝাইতেছেন, সে সকল কথার সার মৰ্ম্ম কি ? আমরা উনবিংশ শতাব্দীর নীতিশাস্ত্রের বশবৰ্ত্তী হইয়া উপরে যে প্রণালীতে সংক্ষেপে এই যুদ্ধের ধৰ্ম্ম্যতা বুঝাইলাম, শ্ৰীকৃষ্ণ ষে সে প্রথা অবলম্বন করেন নাই, ইহা বলা বাহুল্য । তাহার কথার স্থল মৰ্ম্ম এই যে, সকলেরই স্বধৰ্ম্মপালন কর। কৰ্ত্তব্য । আগে আমাদিগের বুঝিয়া দেখা চাই যে স্বধৰ্ম্ম সামগ্ৰীট কি ? শঙ্করাদি পুৰ্ব্বপণ্ডিতগণের পক্ষে এ তত্ত্ব বুঝান বড় সহজ হইয়াছিল। অর্জুন ক্ষত্ৰিয়, সুতরাং অর্জুনের স্বধৰ্ম্ম ক্ষত্রিধৰ্ম্ম বা যুদ্ধ। তিনি ষে যুদ্ধ না করিয়া বরং বলিতেছিলেন, যে ভিক্ষাবলম্বন করিব, সেও ভাল,” সেটা তাহার পরধর্শ্বলম্বনের ইচ্ছা—কেননা ভিক্ষ ব্রাহ্মণের ধৰ্ম্ম।*
- শোকমোহাভ্যাং হভিভূতবিবেকবিজ্ঞানঃ আতএব ক্ষত্রধৰ্ম্মে বুদ্ধে ংপিতাযুদ্ধাপররামপরধৰ্ম্মঞ্চ ভিক্ষাজীবনাদিকংকৰ্ত্তং প্রবন্ধুত্তে -- স্করভাষ্য । - : *