কিন্তু আমরা এই ব্যাখ্যায় সকল বুঝিলাম কি ? বর্ণাশ্রমধৰ্ম্মাবলম্বী হিন্দুগণের স্বধৰ্ম্ম বর্ণবিভাগানুসারে নির্ণীত হইতে পারে, ইহা যেন বুঝিলাম । কিন্তু অহিন্দুর পক্ষে স্বধৰ্ম্ম কি ? ব্রাহ্মণ ক্ষত্ৰিয় বৈশু ও পূত্রের যে সমষ্টি, তাহ পৃথিবীর লোকসংখ্যার অতি ক্ষুদ্রাংশ-অধিকাংশ মনুষ্য চতুৰ্কর্ণের বাহির ; তাহাদের স্বধৰ্ম্ম নাই ? জগদীশ্বর কি তাঁহাদের কোন ধৰ্ম্ম বিহিত্ত করেন নাই ? কোটি কোটি মনুষ্য স্বষ্টি করিয়া কেবল ভারতবাসীর জন্য ধৰ্ম্ম বিহিত করিয়া আর সকলকেই ধৰ্ম্মচু্যত করিয়াছেন ? ভগবদ্যুত্ত ধৰ্ম্ম কি হিন্দুর জন্তই ? স্নেচ্ছের কি তাহার সন্তান নছে ? তাগবত ধৰ্ম্ম এমন অমুদার নছে । ধিনি স্বয়ং জগদীশ্বরের এইরূপ ধৰ্ম্মচু্যতিতে বিশ্বাসবান, তিনি খ্ৰীষ্টানের তুল্য। আর যিনি তাহাতে বিশ্বাসবান নহেন, তিনি *স্বধৰ্ম্মের” অন্ত তাৎপর্য্যের অনুসন্ধান করিবেন সন্দেহ নাই । যাহার যে ধৰ্ম্ম, তাহার তাই স্বধৰ্ম্ম । এখন মকুষ্যের ধৰ্ম্ম কি ? যাহ। লষ্টয়া মনুষ্যত্ব, তাহাই মমুষ্যের ধৰ্ম্ম । কি লইয়। মনুষ্যত্ব ? মানুষের শরীর অাছে, এবং মন + আছে । এই শরীরই বা কি ? এবং মনই বা কি ? শরীর কতকগুলি
- খ্ৰীষ্টানদিগের বিশ্বাস যে, যে যীশুখ্ৰীষ্ট না ভজে জগদীশ্বর তাহাকে | অনন্তকাল জন্ত নরকে নিক্ষেপ করেন ।
- “মন” চলিত কথা, এইজন্য “মন” শব্দ ব্যবহার করিলাম। এই চলিত কথাটা ইংরেজী "mind” শব্দের অমুবাদ মাত্র । হিন্দুদর্শনশাস্ত্রের ভাষা ব্যবহার করিতে গেলে, ইহার পরিবর্তে বুদ্ধি ও মন্স উভয় শব্দ, এবং তৎসঙ্গে অহঙ্কার এই তিনটা শব্দই ব্যবহার করিতে হইবে । তাছায় পরিস্বত্ত্বে “matter and mind” së fettorw wrxovň «safe stat ;