দ্বিতীয় অধ্যায় । se l আপনাদিগের দৈহিকাদি প্রয়োজনীয় সকল কৰ্ম্ম সম্পন্ন করিয়া উঠিতে পারে না, তখন কতকগুলি লোক তাহাদিগের পরিচর্য্যায় নিযুক্ত হয়। অতএব (১ জ্ঞানার্জন বা লোক শিক্ষা, (২) যুদ্ধ বt সমাজরক্ষা, (৩) শিল্প বা বাণিজ্য, (৪) উৎপাদন বা কৃষি, (৫) পরিচর্য্যা, এই পঞ্চবিধ কৰ্ম্ম । ইহার অনুরূপ পাচটী জাতি, রূপান্তরে, সকল সমাজেই আছে । তবে অন্ত সমাজের সঙ্গে ভারতবর্ষের প্রভেদ এই যে এখানে ধৰ্ম্ম পুরুষপরম্পরাগত। কেবল হিন্দুসমাজেই যে এরূপ তাঁহা নহে, হিন্দুসমাজসংলগ্ন মুসলমানদিগের মধ্যেও এইরূপ ঘটিয়াছে। দরজির পুরুষানুক্রমে সিলাই করে, জোলার পুরুষানুক্রমে বস্ত্র বুনে, কলুরা পুরুষানুক্রমে তৈল বিক্রয় করে । ব্যবসা এইরূপ পুরুষপরম্পরানিবদ্ধ হইলে একটা দোষ ঘটে এই যে, যখন কোন জাতির সংখ্যা বৃদ্ধি হইল, তখন নির্দিষ্ট ব্যবসায়ে কুলান হয় না, কৰ্ম্মান্তর অবলম্বন না করিলে জীবিকানিৰ্ব্বাহ হয় না। প্রাচীনকালের অপেক্ষ এ কালে শূদ্ৰজাতির সংখ্যা বিশেষ প্রকারে বৃদ্ধি পাইয়াছে, তাহার ঐতিহাসিক প্রমাণ দেওয়া যাইতে পারে । এজন্ত শূদ্র এখন কেবল পরিচর্য্যা ছাড়িয়া
- কেবল কাল সহকারে প্রজাবৃদ্ধির কথা স্নালিতেছি না । “বাঙ্গালির উৎপত্তি বিষয়ে বঙ্গদর্শনে যে কয়ুটী প্রবন্ধ প্রকাশ করিয়াছিলাম, তাহাতে প্রমাণ করিবার চেষ্টা পাইয়াছি, যে অনাৰ্য্য জাতিবিশেষ-সকল হিন্দু ধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করির হিন্দু পুত্র জাতি-বিশেষে পরিণত হইয়াছে। যথা, পুণ্ড নামক প্রাচীন অনাৰ্য্য জাতি বিশেষ এখন কোন স্থানে পুড়া কোন স্থানে পোঙ্গে পরিণত হইয়াছে। এইরূপে কালক্রমে শুয়ের সংখ্যা বাড়িয়াছে। বর্ণসঙ্কর পুত্রবৃদ্ধির অন্ধতম কারণ। -