সংগ্রহকারের নিবেদন।
পূজ্যপাদ স্বৰ্গীয় গ্রন্থকার মহাশয় যে প্রণালীতে তাঁহার এই গীতাব্যাখ্যা প্রণয়ন করিতেছিলেন, সেইরূপে ইহা সম্পূর্ণ হইলে, ধর্ম্মজিজ্ঞাসু পাঠকবর্গের যে মহোপকার সাধিত হইত, তদ্বিষয়ে সন্দেহ মাত্র নাই। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এই মহৎ কার্য্য সম্পূর্ণ করিবার পুর্ব্বেই, তিনি পুণ্যধামে চলিয়া গিয়াছেন।
গ্রন্থকর্ত্তার জ্যেষ্ঠ জামাতা স্বগীয় রাখালচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বি, এ, মহাশয়ের সম্পাদিত “প্রচায়ে” এই গীtভাব্যাখ্যার প্রথম কিয়দংশ ক্রমশঃ প্রকাশিত হইয়াছিল। সেটুকু তখন অনেকেই দেখিয়াছিলেন। যাঁহারা প্রচারে এই ব্যাখ্যা পড়িয়াছেন, তাহাদের অনেকেই ইহা সম্পূর্ণ হইয়াছে কি না, জানিতে চাহেন; এবং সম্পূর্ণ হয় নাই শুনিয়াও, স্বৰ্গীয় মহাত্মার প্রতি শ্রদ্ধাবিশিষ্ট অনেক পাঠক ঐ অসম্পূর্ণ অংশটুকুই পাইবার অভিলাষ করেন। তাঁহাদের আগ্রহ-পরিতৃপ্তির জন্য, প্রচারে যেটুকু বাহির হইয়াছিল এবং হস্তলিপিতে যেটুকু পাওয়া গেল, তাহা এই পুস্তকে সংগৃহীত হইল।
ব্যাখ্যা দ্বারা গীতার উদার নীতি ও মাহাত্ম্য সাধারণকে বুঝাইয়া দেওয়াই স্বৰ্গীয় মহাত্মার উদ্দেশ্য ছিল। তিনি মূল গ্রন্থের যে সকল স্থান যেরূপ তাবে বুঝিয়াছিলেন, অন্য কাহারও সেই সকল স্থান ঠিক সেইরূপ বুঝা সম্ভবপর নয়; স্বতরাং তিনি যেটুকু লিখিয়া গিয়াছিলেন, কেবল সেইটুকু মুদ্রিত করিলেই চলিত। কিন্তু গীতার হায় একখানি ধর্ম্মগ্রন্থ হিন্দুমাত্রেই স্বীয় গৃহে সম্পূর্ণ রক্ষা করিতে ইচ্ছা করেন এবং রাখার প্রয়োজনও আছে।