দ্বিতীয় অধ্যায় । امه আজ কাল বৈজ্ঞানিকেরাই বড় বলবান । পৃথিবীর সমস্ত ধৰ্ম্ম একদিকে, তাহুরি? অার একদিকে। র্তাহীদের প্রচণ্ড প্রতাপে পৃথিবীর সমস্ত ধৰ্ম্ম হঠিয়া যাইতেছে। অথচ বিজ্ঞানের • অপেক্ষা ধৰ্ম্ম বড়। পক্ষান্তরে ধৰ্ম্ম বড় বলিয়া আমরা বিজ্ঞানকে পরিত্যাগ করিতে পারি না । ধৰ্ম্মও সত্য, বিজ্ঞানও সত্য । অতএব এস্থলে আমাদের বিচার কল্পিয়া দেখা যাউক, কতটুকু সত্য কোন দিকে আছে । বিশেষতঃ শিক্ষিত বাঙ্গালী, বিজ্ঞান জামুন, বা না জামুন, বিজ্ঞানের প্রতি অচল ভক্তিবিশিষ্ট । বিজ্ঞানে রেলওয়ে, টেলিগ্রাফ হয়, জাহাজ চলে, কল চলে, কাপড় হয়, নানা রকমে টাকা আসে, অতএব বিজ্ঞানই তাহাঙ্গের কাছে জ্ঞানের শ্রেষ্ঠ । যখন শিক্ষিত সম্প্রদায়ের জন্ত এই টীকা লেথ যাইতেছে, তখন আত্মবীদের বিজ্ঞান যে প্রতিবাদ করেন, তাহা বিচার করিয়া দেখা উচিত। এ বিচারে আগে বুঝা কৰ্ত্তব্য যে আত্মা কাহাকে বলা যাইতেছে, এবং হিন্দুর আত্মাকে কিরূপ বুঝে । হিন্দু দার্শনিকের আত্মাকে বলেন, “অন্থম্প্রত্যয়বিষয়াহম্পদপ্রভ্যয়লক্ষিতাৰ্থঃ”—অর্থাৎ “আমি” বলিলে ঘাহা বুঝিৰ, সেই •আত্মা। এ সম্বন্ধে আমি পূৰ্ব্বে ঘাঁহ লিখিয়াছি, তাহ উদ্ভূত করিতেছি । তাহ এই বাক্যের সম্প্রসারণ মাত্র । “আমি দুঃখ ভোগ করি—কিন্তু আমি কে ? বাহ-প্রকৃতি ভিন্ন আর কিছু ভোমাদের ইঞ্জিয়ের গোচর লছে। ভূমি বলিতেছ আমি বড় দুঃখ পাইতেছি—আমি বড় মুখী। কিন্তু
- পাঠকের স্মরণ রাখা উচিত যে প্রচলিত প্রথানুসারে science কেউ বিজ্ঞাদ খলিতেছি ও স্বলিব।
- ベ