দ্বিতীয় অধ্যায়। 翻岑 আত্মতত্ব যথন প্রমাণের অতীত, আত্মার অস্তিত্বের যথন প্রমাণ নাই, তখন আত্মসম্বন্ধে মনুষ্যের কোন জ্ঞান লাই, ও হইতে পারে না । অতএব আত্মা আছে কি না জানি না, ইহা ভিন্ন আর কিছু আমাদের বলিবার উপায় নাই । এ কথার দুইটী উত্তর দেওয়া যাইতে পারে । একট প্রাচীন হিন্দু দার্শনিক-দিগের উত্তর, একটা আধুনিক জৰ্ম্মাণদিগের উত্তর । দর্শন শাস্ত্রে এই দুইটা জাতিই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ । এই দুই জাতিই দেখিয়াছেন, যে প্রত্যক্ষ ও প্রত্যক্ষমূলক যে অল্পমান তাহার গতিশক্তি অতি সঙ্কীর্ণ, তাহা কখনই মনুষ্য-জ্ঞানের সীমা নহে । এই জন্ত হিন্দু দার্শনিকের অন্তবিধ প্রমাণ স্বীকার করেন । নৈস্লায়িকের বলেন, আর দ্বিবিধ প্রমাণ অাছে, উপমান এবং শাৰদ ৷ সাংথ্যের উপমান স্বীকার করেন না, কিন্তু শাব্দকে তৃতীয় প্রমাণ বলিয়া স্বীকার করেন । উপমান ( Analogy ) যে একটা পৃথক প্রমাণ, ইহা আমিরা পাঠকদিগকে স্বীকার করিতে বলিতে পারি না । অনেকস্থলে উহার দ্বার। প্রমাণজ্ঞান জন্মে না, ভ্ৰম জ্ঞান জন্মে। যেখানে উপমান প্রমাণের কার্য্য করে, সেখানে উহা পৃথগবিধ প্রমাণ লহে, অনুমান বিশেষ মাত্র। এক্ষণে “শাদ” কি তাস্থা বুঝাইতেছি । - আপ্তোপদেশই শাক, অর্থাৎ ভ্রমপ্রমাদাদিশূন্ত যে বাক্য তাহাঁই তৃতীয় প্রমাণ। যদি বেদাদিকে ভ্রমপ্রমাদাদিশূন্ত বলিয়া আমরা স্বীকার করিতে পারি, তবে তাছ। প্রমাণ । যদি রেদাদিকে অষর ভ্রমপ্রমাদাদিশূন্ত বাক্য বলিয়া স্বীকার করিতে পারি, তবে আত্মার অস্তিত্ব ও অবিনাশিত বেজে উক্ত হইয়াছে বলিয়া,
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৬২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।