& e শ্ৰীমদ্ভগবদগীত।। উন্থা অনাম্বাসে স্বীকার করা যাইতে পারে। পরন্তু বেদাদি যদি মনুষ্যোক্তি হয়, তবে উহ। ভ্রমপ্রমাদাদিশূন্ত ৰলিয়া স্বীকার করা যাইতে পারে না, কেন না মনুষ্যমাত্রেই ভ্রমপ্রমাদাদির অধীন। স্থল কথা, এক ঈশ্বরই ভ্রমপ্রমাদাদিশুস্ত পুরুষ । যদি , কোন উক্তিকে ঈশ্বরোক্তি বলিয়া আমরা স্বীকার করিতে পারি, তবে তাহাই প্রকৃত শব্দ রূপ প্রমাণ । খ্ৰীষ্টিয়ানেরাও ইহাকে উৎকৃষ্ট প্রমাণ বলিয়া স্বীকার করেন—ইংরাজি নাম Revelation. বস্তুতঃ যদি কোন উক্তিকে ঈশ্বরোক্তি বলিয়। স্বীকার করা যায়, ক্তবে তাহ প্রত্যক্ষ ও অনুমানের অপেক্ষাও উৎকৃষ্ট প্রমাণ । কেন না প্রত্যক্ষ ও অনুমানও ভ্রান্ত হইতে পারে, ঈশ্বল্প কখনই ভ্ৰাম্ভ হইতে পারে না । যদি এই গীতাকে কাহারও ঈশ্বরোক্তি বলিয়া বিশ্বাস হয়, তবে আত্মার অস্তিত্ব ও অবিনাশিত সম্বন্ধে তাহার অন্য প্রমাণ খুঁজিবার প্রয়োজন নাই ; এই গীতাই অখণ্ডনীয় প্রমাণ । তবে নিরীশ্বর বৈজ্ঞানিক, গীতাদিকে ঈশ্বরোক্তি বলিয়া স্বীকার কল্পিবেন না। জাঙ্কার অস্তিত্ত্বে বিশ্বাস করিতে তিনি কি বাধ্য মহেন ? র্তাহাদিগের জন্ত জৰ্ম্মাণ-দার্শনিকলিগের উত্তর আছে। কাণ্টের বিচিত্র দর্শনশাস্ত্র পাঠককে বুৰাইবার স্থান এখানে নাই। কিন্তু কাণ্ট এবং তাহার পরবত্তা কতকগুলি লব্ধপ্রতিষ্ঠ দার্শনিকদিগের মত এই ষে প্রত্যক্ষ এবং প্রত্যক্ষমূলক অস্থান ভিন্ন জ্ঞানের অন্ত কারণ আছে। উহার বলেন কতকগুলি স্তৰ মনুষ্যচিত্তে স্বতঃসিদ্ধ। উছার কেবল "বলেম”, ইহাই সঙ্গ, কাণ্ট এই তত্ত্বের ষে প্রকার প্রমাণ করিয়াছেন, গুীহৰ মস্থধ্যম বুদ্ধির আশ্চৰ্য্য পরিচয় স্থল। কাণ্ট ইছাও বলেন ৰুে যাদ্ধায়ক హ్రో
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৬৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।