te প্রীমদ্ভগবদগীত।। তবে মানিৰ । গত্যন্তরের প্রমাণাভাব, জন্মান্তরের প্রমাণু নয় । তুমি যে রামও নও, শুামও নয়, তাহাতে প্রমাণ হইতেছে না যে, ' ষে ভুমি যাদৰ কি মাধব। জন্মান্তর যে হইয়া থকে, তাহার প্রমাণ কি ?” কখা বড় শক্ত। জন্মাস্তৱবাদীরা এ বিষয়ে যে সকল প্রমাণ দিয়া থাকেন, বা ইচ্ছা করিলে দিতে পারেন, তাহা আমি যথাসাধ্য নিম্নে সংগ্ৰছ করিলাম । ১ । এ দেশে সচরাচর, লোকের অদৃষ্ট তারতম্য দেখাইয়া এই মত সমর্থন করা হয় । কেহ বিনা দোষে দুঃখী ; কেহ সহস্ৰ দোষ করিয়াও সুর্থী, এ দেশীরগণ জন্মাস্তরের স্থকৃত স্থঙ্কত ভিন্ন এরূপ বৈষম্যের কিছু কারণ দেখেন না । লোকান্তরে সূৰ্ণাং স্বর্গ নরকে স্বকৃতের পুরস্কার ও ফুস্কৃতের দও হইবে, ঐ কথা বলিলে ইহলোকের অদৃষ্ট-বৈষম্য সম্পূর্ণ রূপে বুঝা যায় না । কেহ আজন্ম দুঃখী, অন্নহীনের ঘরে জন্মিয়াছে ; কেহ আজন্ম সুখী, রাজার এক মাত্র পুত্র --জন্মকালেই এ অদুষ্ট-তারতম্য কেন ? যদি ইছ জীবের কৰ্ম্মফল হয়, তবে ইহজন্মের কৰ্ম্মফল নহে, কেন না সদ্যঃপ্রস্থত শিশুর ত কিছুই ইছজন্মকৃত কৰ্ম্ম নাই । কাজেই তাহার এখানে পূৰ্ব্বজন্মকৃত কৰ্ম্মফল বিবেচনা করিয়া থাকেন । আপত্তিকারক এ বিচারে সস্তুষ্ট হইবেন না । মনে কর, তিনি । বলিবেন,—“সকলই কি কৰ্ম্মফল ? যদি তাই হয়, তবে মৃত্যুকেও কৰ্ম্মফল বলিতে হইৰে । কিন্তু কখনও কোন জীব, মৃত্যু হইতে নিস্কৃতি পায় নাই। অতএব ইহাই সিদ্ধ যে এমন কোন কৰ্ম্ম ৰ অকৰ্ম্ম লাই, যদ্বারা মৃত্যু হইতে রক্ষ হইতে পারে ।
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৭৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।