পাতা:শ্রীমাধবেন্দ্রপুরী ও বল্লভাচার্য্য.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীমাধবেন্দ্ৰপুরী ও বল্লভাচাৰ্য্য। গৌর দীর্ঘ কলেবর বাহু জানুসম । সিংহ গ্রীব গজস্কন্ধ কমল লোচন ॥ করুণাসাগর। প্ৰভু প্রেমের আবাস। নিজ করুণায় দয়া করিবে প্ৰকাশ ৷ মোর ভাগ্য নাহি মুই দেখিব নয়নে। তোর দেখা হইলে মোরে করিহ স্মরণে ॥” শ্ৰীমাধবেন্দ্ৰ বড়ই ব্যথিত হইলেন যে ভগবানের অবতার গ্ৰহণ কালে তিনি আর এ জগতে থাকিবেন না। তাই শ্ৰীমান্য পরমানন্দপুরীকে কহিলেন, “বৎস ! যখন তোমরা সাক্ষাৎ শ্ৰীভগবানকে দর্শন করিবে সেই সময়ে আমাকে স্মরণ করিবে” ; গুরুর আদেশ পাইয়া পরমানন্দপুরী তীর্থে তীর্থে ভ্ৰমণ করিতে লাগিলেন। আর মাধবেন্দ্ৰ গোস্বামীপাদ কিয়দিবস পরে নীলাচলধামে আসিয়া উপস্থিত হইলেন । এইস্থানে তিনি, তাহার গুরুদেব শ্ৰীলক্ষীপতির দর্শন লাভ করিলেন। লক্ষনীপতির সহিত একটি দ্বাদশ বর্ষীয় বালক ছিলেন। শ্ৰীমাধবেন্দ্র এই বালকের অঙ্গে শতসহস্ৰ সূর্যের তেজঃ সন্দর্শন করিয়া অতীব বিস্মিত হইলেন । এই বালকটিকে লক্ষীপতি গৌড়দেশ হইতে সঙ্গে করিয়া নীলাচলে আনিয়াছিলেন। এই বালক আর কেহ নহেন, ইনি শ্ৰীনিতানন্দ, শ্ৰীনিত্যানন্দদেব পুরীপাদকে দর্শন করিয়া মুচ্ছিত হইলেন। মাধবেন্দ্রও নিত্যানন্দকে দর্শন করিয়া বিস্মিত হইলেন । Digitized at BRCin dia, Contin