পাতা:শ্রীমাধবেন্দ্রপুরী ও বল্লভাচার্য্য.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীমাধবেন্দ্রপুরী ও বল্লভাচাৰ্য্য। ՀԳ সপ্তবৰ্ষ অধ্যয়নের পর শ্ৰীমান বল্লভ ভট্ট বেদ, পুরাণ, ভাগবত আদি শাস্ত্ৰে সবিশেষ বুৎপত্তি লাভ করিলেন। অনন্তর ১৫৪২ সংবতে লক্ষণ ভট্ট শ্ৰীমান বল্লভকে সঙ্গে লইয়া সপত্নীক তুঙ্গভদ্রা নদীর তীরে বিজয়নগরে গিয়া বাস করিতে লাগিলেন । এই ভিজিয়ানগর ভিজিয়ানাগ্রাম বা বিজয়নগর ভারতের মধ্যে একটি অন্যতম ইতিহাস প্রসিদ্ধ স্থান ছিল। এইস্থানে চারিটীি বৈষ্ণবসম্প্রদায়ের বেদান্তভান্য শিক্ষার্থ পুত্ৰ বল্লভকে ভট্ট মহাশয় নিয়োজিত করিলেন। শ্ৰীবল্লভ মনোনিবেশ সহকারে দুই বৎসর মধ্যে বিভিন্ন ভাষ্যসমুদয় অধ্যয়ন করিলেন যখন তাহার বয়ঃক্রম পঞ্চদশবর্ষ, সেই সময়েই শ্ৰীবল্লভাচাৰ্য্য দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত বলিয়া গণ্য হইয়াছিলেন। শ্ৰীবল্লভাচাৰ্য্য যৈ কাহার নিকটে দীক্ষাগ্ৰহণ করিয়াছিলেন এ বিষয়ে মতভেদ রহিয়াছে। “বল্লভ দিগ্বিজয়ী” গ্রন্থে দেখা যায় তিনি শ্ৰীবিল্বমঙ্গল ঠাকুরের নিকট দীক্ষাগ্ৰহণ করিয়াছিলেন, কিন্তু ইহা সম্পূর্ণ অসম্ভব। কারণ বল্লাভের জন্মের দেড়শত বা দুইশত বর্ষ পূর্বে শ্ৰীবিল্বমঙ্গল ঠাকুর ছিলেন। কেহ কেহ মনে করেন শ্ৰীগদাধর পণ্ডিতের নিকট শ্ৰীবল্লভ দীক্ষা লইয়াছিলেন, আবার অন্য কেহ কেহ বলিয়া থাকেন যে, বল্লাভের পিতা শ্ৰীমাধবেন্দ্ৰপুরীর হস্তে পুত্রকে প্ৰদান করিলে পুৱীগোস্বামী প্ৰথমে তঁাহাকে দীক্ষাদান করেন। অতঃপর বিদ্যাশিক্ষা দিতে থাকেন। এই সময়ে পঞ্চদশবর্ষ বয়সে তিনি পিতা ও মাতাকে সঙ্গে লইয়া শ্ৰীব্রজধামে গমন করিলেন। তারপর উজ্জয়িনী হইয়া Digitized at BRCIndia.com