পাতা:শ্রীমাধুর্য্য-কাদম্বিনী.djvu/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( a )

  • সখি ষ্ঠে কৃষ্ণমুখ দ্বিঙ্গরাজরাজ।

কৃষ্ণবপুঃ সিংহাসনে, বসি রাজ্য শাসনে ক’রে সঙ্গে চন্দ্রের সমাজ ॥ ছুইগও মুচিঙ্কণ, জিনি মণি সুদৰ্পণ, সেই দুষ্ট পূর্ণচন্দ্র জানি। ললাট অষ্টমী—ইন্দু, তাহাতে চনান-বিন্দু সেই এক পূর্ণচন্দ্র মানি ॥ করনথ চীদের হাট বংশীর উপর করে নাট তার গীত মুরলীর তীন। পদ নখ চন্দ্রগণ তলে করে সুনর্জন যার ধ্বনি নৃপুরের গান ৷” উদ্ধত বর্ণনায় প্রথমে কৃষ্ণমুখ–এক চন্দ্র, তাহার পর দুইগও দুই চন্দ্র, তাহার পর চন্দনবিন্দু পূৰ্ণচন্দ্র, চন্দনবিন্দুর নিম্নস্থ ললাটভাগকে অষ্টমীর ইদ ব অৰ্ধচন্দ্র বলিয়া বর্ণনা করা হইয়াছে। ইহাতে পঞ্চমাক্ষরই অৰ্দ্ধাক্ষর হইবার কথা, কিন্তু ‘খণ্ড-ত (ৎ) কে অৰ্দ্ধাক্ষর ধরিলে, শেষাক্ষরই অৰ্দ্ধাক্ষর হয়— পঞ্চমাক্ষর হয় না। বিশ্বনাথ এই প্রকার সন্দেহে আকুল হইয়া ভাবিলেন, “যদি মন্ত্রাক্ষর গোচর না হয়, তবে দেবতাও গোচরীভূত হন না, অতএব উপাস্ত দেবতার সাক্ষাৎকার না ঘটিলে দেহত্যাগই আমার কৰ্ত্তব্য।” এই মনে করিয়া মনোদুঃখে দেহত্যাগ-অভিলাষে রাধাকুগুতটে নিপতিত হইলেন। এইরূপ সঙ্করের পর রাত্রি দ্বিতীয় প্রহর অতীত হইলে তাহার তন্দ্রা উপস্থিত হয়। ঐ অবস্থায় তিনি দেখিতে পাইলেন যে, শ্ৰীবৃষভান্থনন্দিনী তাহার নিকট উপস্থিত হইয়। বলিফুেছন—“ছে বিশ্বনাথ ! হে হরিবল্লভ তুমি উঠ, শ্ৰীকৃষ্ণদাস কবিরাজ যাহা লিখিয়াছেন, তাহা সকলই সত্য । তিনি নৰ্ম্মসহচরী, তিনি আমার অনুগ্রন্থে আমার অন্তঃকরণের সকল ভাবই অবগত আছেন। তাহার বাক্যে তুমি কোনরূপ সন্দেহ করিও না। কামগায়ত্রীই আমার ও আমার প্রাণবল্লভের উপাসনা-মন্ত্র, আমরা মন্ত্রাক্ষরদ্ধারে ভক্তের নিকট প্রকাশিত হই । আমার অনুগ্রহ ব্যতীত কেহই আমাদিগকে জানিতে সমর্থ নহে। “বর্ণাগমভাস্বৎ* নামক গ্রন্থে অৰ্দ্ধক্ষর নিরূপণ সম্বন্ধে যাহা লিখিত আছে এবং যাহা দেখিয়া শ্ৰীকৃষ্ণ