( ১২ } কবিরাজ গোস্বামী এই মহতী লেবার ভার গ্রহণ করেন । শ্ৰীল কবিরাজ মহাশয়ের অপ্রকটাবস্থায় তাহার শিষ্য শ্ৰীল মুকুন্দদাস এই শিলার সেবার নিযুক্ত হন। শ্ৰীল গঙ্গানারায়ণ চক্ৰবৰ্ত্তী মহাশয়ের ছস্থিত শ্ৰীবিষ্ণুপ্রিয়ার কম্ভ পরমভক্তিমতী শ্ৰীকৃষ্ণক্তির ঠাকুরাণী শ্ৰীল মুকুন্নদাসের নিকট হইতে এই গোবদ্ধর্মশিলা প্রাপ্ত হন । শ্ৰীযুক্ত কৃষ্ণপ্রিয়া ঠাকুরাণী বৃদ্ধকালে শ্ৰীল চক্রবত্তি মহাশয়ের দ্বারা নিজ সাক্ষাতে এই শিলার সেবা করিয়া পরমাপ্রতি লাভ করিতেন । শ্ৰীল কৃষ্ণপ্রিয়া ঠাকুরাণী পরিশেষে শ্রীল চক্রবৰ্ত্তি মহাশয়কে এই শিলার সেবার ভার প্রদান করিয়া অপ্রকট হন। এখন পৰ্য্যন্ত শ্ৰীল বিশ্বনাথ প্রতিষ্ঠিত শ্ৰীবৃন্দাবনে শ্ৰীল গোকুলানন্দঞ্জীর মন্দিরে শ্ৰীবিগ্রন্থের সহিত এই শিলার মেৰা হইয়া থাকে। কেঙ্ক কেহ বলিয়া থাকেন যে, বিশ্বনাথ বেষাপ্রয় করিয়াছিলেন বা ভেক গ্রন্থণ করিয়াছিলেন এবং তাঙ্কার বেষণশ্রয়ের নাম হরিবল্লভ। কিন্তু আমরা এ কথার কোনও প্রমাণ প্রাপ্ত হই নাই। পরস্তু বিশ্বনাথ শেষ পর্য্যস্ব বিশ্বনাথ চক্রবর্তী নামেই স্বীয় পরিচয় প্রদান করিয়াছেন। তবে যপন তিনি কীৰ্ত্তনের পদ রচনা করিতেন, তখন ঐ পদে তিনি হরিবল্লভ নাম ব্যবহার করিতেন। ভক্তিরত্নাকরের গ্রন্থকার নরহরি পদরচনায়--ঘনশুণম নাম ব্যবহার করিতেন । পদরচনায় এরূপ মামাস্তর গ্রহণের প্রথা অন্যত্রও দেখা যায় । আমাদের বিশ্বাস, বিশ্বনাথ পদরচনাকালে ঐন্ধপ নামাস্তুর গ্রহণ করিতেন । তিনি “ক্ষণদীগীতচিন্তামণি" নামক যে পদসংগ্রহ-গ্ৰন্থ প্রকাশ করিয়াছিলেন, তাহীতেও ইহা প্রমাণিত হয় । কাহারও মতে হরিবল্লভ বিশ্বনাথেরই নামান্তর। ফলতঃ তিনি আধুনিক বৈষ্ণবগণের ন্যায় ভেক বা বেয গ্রহণ করেন নাই। ইহাই আমাদিগের দৃঢ় ধারণা । বিশ্বনাথ যে ভাবে গৌড়ীয়-বৈষ্ণব-ধর্শ্বের মর্য্যাদা রক্ষা করিয়া পুনরায় প্রবৃন্দাবনে গৌড়ীয়-বৈষ্ণবধর্মের প্রভাব রক্ষা করিয়াছিলেন, তাম্বা বিবেচনা করিয়া দেখিলে ঠান্থার অলৌকিক প্রতিভায় বিম্মিত হইতে হয় । তাঁহার এই অসাধারণ কাৰ্য্যের জন্ত গৌড়ীয়-বৈষ্ণবপ্রধানগণ কর্তৃক তখন র্তাহার নামের একটি ব্যাখ্যা প্রচাপ্তিত্ব স্বইয়ছিল"। যথা
পাতা:শ্রীমাধুর্য্য-কাদম্বিনী.djvu/১৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।