পাতা:শ্রীমাধুর্য্য-কাদম্বিনী.djvu/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম বৃষ্ট্রিঃ ] মাধুর্য-কাদম্বিনী। স মধ্যম” ( ভাঃ ১১st৪৬) ইতি মধ্যম ভক্তবৈষম্যস্ত বিদ্যমানত্বাদ ভগবতশ্চ স্বভক্তবশ্বত্বেন তৎকুপানুগামিকৃপত্বে ন কিঞ্চিদ সামঞ্জস্তম্। যতো ভক্ত-কৃপায়া হেতুর্ভক্তস্তৈব তস্ত হৃদয়বৰ্ত্তিনী ভক্তিরেব । তাং বিনা কুপোদয়সস্তবাভাবাদিতি ভক্তেঃ স্বপ্রকাশত্বমেব সিদ্ধম্। অতো "য: কেনাপ্যতিভাগ্যেন জাতশ্রদ্ধোহস্য সেবনে” ইত্যত্র অতি ভাগ্যেন শুভকৰ্ম্মজন্যভাগ্যমতিক্রাস্তেন কেনাপি ভক্তকারুণ্যেনেতি তত্ত্বার্থে জ্ঞেয়: ন চ ভক্তগনাং কৃপায়া: প্রাথম্যাসন্তবস্তেষামপীশ্বর-প্রের্য্যত্বাদিতি বাচম । ঈশ্বরেণৈব স্বভক্তবশ্যতাং স্বীকুৰ্ব্বত স্বকৃপাশক্তিসম্প্রদানীকৃত স্বভক্তেন করেন তিনিই মধ্যম ভক্ত ( ১ )” এই লক্ষণানুসারে মধ্যমভক্তে বৈষম্য বিদ্যমান আছে ; এবং যেহেতু ভগবান ভক্তের অধীন, মুতরাং তাহার কৃপাও ভক্তরুপার অনুগামিনী—এই যুক্তি অনুসারে মধাম ভক্তের রুপা হইলে ভগবানেরও রুপা হইবে —ইহাতে প্রকৃতপক্ষে কিছুমাত্র অসামঞ্জস্য পরিদৃষ্ট হইতেছেন। কারণ, ভক্তের হৃদয়বৰ্ত্তিনী যে ভক্তি তাঁহাই ভক্তাধীন ভগবানের কৃপার মূল কারণ। ভক্তের অন্তর্নিহিত এই ভক্তিব্যতীত ভগবৎকুপার উদয়ের আর কোনও প্রকার সম্ভাবনা নাই ; এই জন্যই ভক্তির প্রাক্তন ভাগ্যাদির অপেক্ষ না থাকায় ভক্তির স্বপ্রকাশত সিদ্ধ হইল। অর্থাৎ পূর্দে ভক্রিকেট ধেমন ভক্তির কারণ বলা হইয়াছে, এস্থলেও তাহাই প্রতিপন্ন করায় ভক্তি যে স্বীয় প্রকাশের জন্য কোনও কারণের অপেক্ষা করেন না, ইহা প্রতিপন্ন হওয়ার ভক্তি স্বপ্রকাশ ইঙ্গ প্রমাণিত হইল। এই কারণেই “যিনি কোনও অতি ভাগ্য হেতু ভগবৎসেবায় জাতশ্রদ্ধ ইন” এই শ্লেীকে যে “অতিভাগ্য’ কথাটী অাছে, ঐ "অতিভাগ্য’ শব্দের অর্থ ‘কোনও ভক্তের কুপীয় শুভকৰ্ম্ম জন্য ভাগ্যকে অতিক্রান্ত করিয়াছে—অর্থাৎ কৰ্ম্ম জন্ত ভাগ্য কারণ না হইয়া ভক্তরুপ স্বতঃই উদিত হইয়াছে—এইরূপ তত্ত্বাৰ্থ বুঝিতে হইবে। ইহা বলা যাইতে পারে যে, ভক্তগণ যখন ঈশ্বরাধীন, তখন ঈশ্বর-কৃপা ব্যতীত প্রথমে ভক্তকৃপা কি প্রকারে উদিত হইবে । ইহার উত্তরে এই বলা যায় যে, ঈশ্বর নিজেই আপনার ভক্তাধীনতা স্বীকার করিয়া নিজভক্তকে (১) ভf, ১১।৩৪৬