& মাধুৰ্য্যকাদম্বিনী। [ ১ম বৃষ্টিঃ । অস্যাস্তু ন তথা— “ন দেশনিয়মস্তত্ৰ ন কালনিয়মস্তথা । নোচ্ছিষ্টাদে নিষেধোহস্তি হরেনামনি লুব্ধক ॥” (১) ইত্যাদে । কিঞ্চস্তা প্রসিদ্ধসাপেক্ষামপি ন । “সকুদপি পরিগীতং শ্রদ্ধয়া হেলয়া বা w ভূণ্ডলর নরমাত্রং তারয়েৎ কৃষ্ণনাম ॥" (২) ইত্যাদে । কৰ্ম্মযোগস্ত তথাভূতত্বে মহানর্থক্যরিত্বমেব। "মন্ত্রহীন: স্বরতো বর্ণতো বা মিথো প্ৰযুক্তো ন তমর্থমাহ । যথেন্দ্রশত্রঃ স্বরতোহপরাধাৎ স বাগ বজো যজমানং হি হিনস্তি ॥” ইত্যাদেঃ । ক্রটি ঘটিলে কৰ্ম্ম ইষ্ট ফলপ্রদ হয় না—ইহা সেই সেই কৰ্ম্মের বিধান প্ৰবৰ্ত্তক স্থতিতেই প্রসিদ্ধ আছে। কিন্তু ভক্তির পক্ষে ঐক্কপ বিধান নাই। এইজন্যেই শাস্ত্রে আছে—“হে লুন্ধক ! ইহাতে অর্থাৎ নামকীৰ্ত্তনাদিরূপ ভক্ত্যঙ্গের অনুষ্ঠানে দেশের নিয়ম নাই বা কালের নিয়মও নাই ; পরস্তু এই হরিনামে উচ্ছিষ্টাদির অবস্থায় নিষেধও নাই।” ভক্তির প্রসিদ্ধ সাপেক্ষত্বও নাই অর্থাৎ ভক্তি স্বীয় সিদ্ধির জন্য কোনও কিছুরই ( কোনও নিয়ম বা বিধানেরও ) অপেক্ষা রাখেন না। এই জন্যই শাস্তে বলা হইয়াছে “হে ভৃগুবংশশ্রেষ্ঠ ! শ্রদ্ধা সহকারে বা হেলা সহকারে একবারমাত্র সম্যকরূপে গীত হইলে এই শ্ৰীকৃষ্ণনাম মনুষ্য মাত্রেরই ত্রাণ করিয়া থাকেন।” কৰ্ম্মযোগের পূৰ্ব্বোক্ত বিধিনিষেধাদি থাকায় উহার ক্রটি ঘটিলে মহান অনর্থ .উৎপাদন করে। এই জন্যেই শাস্ত্রে বলা হইয়াছে যে যজ্ঞাদিতে কোনও মন্ত্রের উদাত্ত, অনুদাত্ত বা স্বরিতের উচ্চারণে ভ্রম হইলে অথবা কোনও বর্ণহীনতা হইলে বা যথার্থরূপে প্রমুক্ত না হইলে সেই বাক্যরূপ বজ্ৰ যজমানের সৰ্ব্বনাশ সাধন করে। ত্বই ঋযি “ইন্দ্রশক্র" তুমি বৰ্দ্ধিত হও বলিয়া যজ্ঞে আহুতি দেন, তাহার, অভিপ্রায় ছিল যে “ইন্দ্রশক্র” শব্দে ইন্দ্রের শত্রু বুঝাইবে (১) বিষ্ণুপৰ্ম্মোত্তর ( ক্ষত্র-বন্ধু উপাখ্যানে) । (১) প্ৰস্তাবল্যাংশ্ৰবাসপাদৱং।
পাতা:শ্রীমাধুর্য্য-কাদম্বিনী.djvu/৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।