১ম বৃষ্টিঃ ] মাধুর্য্যকাদম্বিনী। ×0r বাধ্যন্তে বেতি। কিঞ্চ জ্ঞানৈকসাধনমাত্রস্তুং ভক্তেরিতাজ্ঞৈরেবোচাতে যতো জ্ঞানসাধ্যান্মোক্ষাদপি তস্যাঃ পরমোৎকর্ষ এপালোচ্যতে। "মুক্তিং দদাতি কহিঁচিৎ স্ম ন ভক্তিযোগম” ইতি। “মুক্তানামপি সিদ্ধানাং নারায়ণপরায়ণঃ। স্থদুল্লভো প্রশান্তাত্মা কোটিম্বপি মহামুনে ॥” (১) ইত্যাদিভা । ইন্দ্রমেব প্রধানীকৃত্য স্বয়ং গুণীভবতোপেন্দ্রেণ তং সৰ্ব্বথা পুষ্ণতা স্বকৃপালুম্বমেব যথাভিজ্ঞজনেষু প্রত্যায্যতে ন তু স্বাপকৰ্মস্তথৈব জ্ঞানং পুঞ্চন্তাস্তত্তৎপ্রকরণবাক্যেযু তস্যা ভক্তেরমুগ্রহ এব স্বধীভিরমুগম্যতে ইতি । "ভক্ত্যা সঞ্জািতয়া ভক্ত্যা” ইতি ভক্তে: ফলং প্রেমরূপ সৈবেতি যেহেতু কৰ্ম্মযোগ ও জ্ঞানযোগ কোনও কিছুর দ্বারা সাধ্য বা বাধ্য—অথাৎ . কোনও কোনও বিশেষ সাধনের দ্বারা উহাতে সিদ্ধিলাভ হয়, অথবা কোনও কোনও বিশেষ প্রকার বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করিলে উহার সিদ্ধিতে বাধা ঘটে। পরস্তু অজ্ঞব্যক্তিগণই বলিয়া থাকে যে, একমাত্র জ্ঞানই ভক্তির সাধক ; ইহা অজ্ঞেরই উক্তি ; যেহেতু দেখা যায় যে, জ্ঞানসাধ্য মোক্ষ হইতেও ভক্তির পরমোৎকর্ষ শাস্ত্রাদিতে আলোচিত হইয়াছে। যথা –“তিনি বরং মুক্তিদান করিয়া থাকেন, কিন্তু ভক্তিদান করেন না” “হে মহামুনে ! সিদ্ধমুক্তদিগের মধ্যে কোটি কোটিজনের মধ্যেই প্রশান্তাত্মা নারায়ণ-পরায়ণ-ভক্ত বিশেষরূপে দুর্লভ।” বামনবতার শ্রীভগবান নিজে যেমন সৰ্ব্বগুণশালী হইয়াও উপেন্দ্ররূপে ইন্দ্রের কনিষ্ঠ হইয়া ইন্দ্রের সর্বপ্রকার পোষণ করায় অভিজ্ঞ ব্যকিগণের নিকট তাহার নিজের পরম দয়ালুত্ব প্রমাণ হইয়াছে, প্রত্যুত হীনত্ব প্রমাণ হয় নাই—সেইরূপ জ্ঞান-প্রধান শাস্ত্রবাক্যে ভক্তিকে জ্ঞানাঙ্গরূপে প্রকাশ করায় বুঝিতে হইবে যে, স্বয়ং স্বতন্ত্রা ও সৰ্ব্বসমর্থ হইয়াও জ্ঞানের পোষণের জন্য ভক্তিদেবীও সত্ত্বগুণাবলম্বনে জ্ঞানাঙ্গ হইয়া জ্ঞানের পোষকতা করেন— ইহাই বিদ্বানগণ মনে করিয়া থাকেন। "ভক্তিদ্বারা সজ্জাত ভক্তিহেতু” এই শাস্ত্রবাক্য হইতে ভক্তির ফলওযে প্রেমরূপ ভক্তি ইহাই বুঝা যায় ; কারণ, (১) ভাং
পাতা:শ্রীমাধুর্য্য-কাদম্বিনী.djvu/৩৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।