১৬ মাধুর্য্যকাদম্বিনী । [ ১ম বৃষ্টি । স্বয়ং পুরুষাৰ্থমৌলিরাপত্ত্বং তস্যা: ৷ তদেবং ভগবত ইব স্বরূপভূতায় মহাশক্তে: সববব্যাপকত্বং সবব বশীকারিত্বং সৰ্ব্বসঞ্জীবকত্বং সর্বোৎকর্ষপরমস্বাতন্ত্রাং স্ব প্রকাশতঞ্চ কিঞ্চিদুটঙ্কিতং তদপি তাং বিনা অন্যত্র প্রবৃত্তেী প্রেক্ষাবত্বস্যাভাব ইতি কিং বক্তব্যম্। নরত্বস্যাপি “কো বৈ ন সেবেত বিনা নরেতরম" ইত্যাদিভিরবগমো দৃষ্টঃ ॥৪ ইতি মহামহোপাধ্যায় শ্ৰীমদ্বিশ্বনাথচক্রবর্তিবিরচিতায়াং মাধুর্য্যকাদম্বিন্যাং ভক্তেঃ সৰ্ব্বোৎকর্ষনামা প্রথমামৃতবৃষ্টি: ॥১ ভক্তিদেবী নিজেই সৰ্ব্বপ্রকার পুরুষার্থের শিরোমণি। অতএব শ্ৰীভগবানের ন্যায় র্তাঙ্কার স্বরূপভূত মহাশক্তি ভক্তিদেবীর সর্বব্যাপিত্ব, সৰ্ব্ববণীকারিত্ব, সৰ্ব্বসন্ত্রীবকত্ব, সৰ্ব্বোৎকর্ষ, পরমস্বাতন্ত্রা এবং স্বপ্রকাশত্ব অতি অল্পমাত্রই প্রদর্শিত হইল। তাহাতে ইহা স্পষ্টীকৃত হইল যে, এই ভকিবিনা অন্ত কোনও বিষয়ে বা অন্তকোন উদেশ্বমূলক সাধনে যাহার প্রবৃত্তি ঘটে—র্তাহার সম্যক দর্শনাদির যে অভাব একথা বলাই বাহুল্য। অর্থাৎ অন্ত কোনও প্রকার সাধন-পথ অবলম্বন করিলেও তাঁহাতে ঐকান্তিকী নিষ্ঠামূলা ভক্তি না থাকিলে সিদ্ধিলাভ ঘটেনা— ইহা ৪ প্রদর্শিত হইয়াছে এবং ভক্তি যে সকল প্রকার সিদ্ধি হইতেও গরীয়সী ইহfও দেখান হইয়াছে। অতএব সেই ভক্তিই যখন সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠা ; তখন তল্লাভই জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত ; সুতরাং ভক্তিলাভ যাহাঁদের জীবনের উদেশ্ব না হয়, তাহারা নিশ্চয়ই সংশাস্ত্রাদির সম্যক্ অনুশীলন করেন নাই এবং তাহাদের বুদ্ধিও সম্যক পক্কতা লাভ করে নাই। এই জন্যই তাহদের বিচারশক্তির শৈথিল্য আছে এবং তজ্জন্তই তাঁহাদের সম্যগ দর্শনের অভাব বলা হইয়াছে। তাহাদের মধ্যে মানবভাবও সম্পূর্ণরূপে বিকশিত হয় নাই—এইজন্তই শাস্ত্রে বলা হইয়াছে যে “সেই ভগবানকে নরেতর প্রাণীভিন্ন আর কে ভজনা না করিয়া থাকে ?" অতএব যৈ মানবে মানবধৰ্ম্মের পূর্ণত হইয়াছে,ভক্তি তাহার পক্ষে স্বত:সিদ্ধ—ইহাই প্রতিপন্ন হইল ॥৪ ইতি মহামহোপাধ্যায় ক্রমদ্বিশ্বনাথ চক্রবর্ধিবিরচিত মধুৰ্য্যকাদম্বিনী-গ্রন্থে ভক্তির সৰ্ব্বোৎকর্ষনামক প্রথমামৃতদৃষ্ট ॥১।
পাতা:শ্রীমাধুর্য্য-কাদম্বিনী.djvu/৩৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।