২য় বৃষ্টি; ] মাধুর্য্যকাদম্বিনী। &》 তত্ৰ ভক্ত্যধিকারিণঃ প্রথমং শ্রদ্ধা। (১) সাচ তত্তচ্ছাস্ত্রার্থে দৃঢ়-প্রত্যয়ময়ী । প্রক্রম্যমাণষত্বৈকনিদানরূপতদ্বিষয়কম্বৈক-নিববাহরূপসাদরস্পৃহা চ। সা চ স চ স্বাভাবিকী কেনাপি বলাৎপাদিত চ। ততশ্চাশ্ৰিতগুরুচরণস্ততস্ত জিজ্ঞাস্যমানসদাচারস্ত তচ্ছিক্ষয়ৈব সজাতীয়াশয়স্নিগ্ধভক্ত্যভিজ্ঞসাধুসঙ্গভাগ্যোদয়: ততো ভজনক্রিয়। সা ভক্তিতে যিনি অধিকারী, তাহার প্রথমে শ্রদ্ধার উদয় হইয়া থাকে । ভক্তিশাস্ত্রে কথিত বিষয়ে দৃঢ়প্রত্যয়ই ঐ শ্রদ্ধা (শাস্ত্রে মনের দৃঢ়নিশ্চয়তাকেই শ্রদ্ধা কহে । ) শাস্ত্রোক্ত বিষয়ের অনুষ্ঠানে বিশেষরূপ যত্নশীল হইয়া তদনুসারে, কাৰ্য্যাদি নিৰ্ব্বাহ করিবার যে সাদর পৃহা দেখা যায়, তাহাকেও শ্রদ্ধা বলা হইয়া থাকে। এই উভয়বিধ শ্রদ্ধাই আবার দুই ভাগে বিভক্ত, একপ্রকার স্বাভাবিকী শ্রদ্ধা, অন্ত প্রকার শ্রদ্ধা কোনও কিছুদ্ধারা বল পূৰ্ব্বক উৎপাদিতা হয়। এই শ্রদ্ধা জন্মিলে পর গুরুচরণের আশ্রয় গ্রহণ করিয়া সদাচার-জিজ্ঞাসা জন্মে ; (সদাচার -সাধুগণের ভজনাদিরূপ আচরণ ; জিজ্ঞাসা—জানিবার ইচ্ছা ) ঐ জিজ্ঞাসার পর সদাচার-শিক্ষার দ্বারা নিজাভিলষিত ভজনীয়ের অমুকুল উদ্দেশ্য-সমন্বিত স্নিগ্ধ ( স্নেহশীল) ভক্তিপথে অভিজ্ঞ সাধুগণের সঙ্গরূপ ভাগ্যের উদয় হইয়া থাকে। অর্থাৎ সদাচার-শ্রবণে তদনুষ্ঠানের আগ্রহ জন্মিলেও তাহা জানিবার ইচ্ছা থাকিলে তদ্বিষয়ে অভিজ্ঞ জনের নিকট যাইতে হয়, তজ্জন্ত (১) শ্ৰীভক্তিরসামৃতসিন্ধুর পূৰ্ব্ববিভাগের প্রেমভক্তিলহরীতে আছে— “আদেী শ্রদ্ধা ততঃ সাধুসঙ্গোহথ ভজনক্রিয় । ততোটুনর্থনিবৃত্তি: স্যাক্ততে নিষ্ঠ রুচিস্ততঃ ॥ অথাসক্তিস্ততে ভাবস্তত: প্রেমাভু্যদঞ্চতি। সাধকনাময়ং প্রেম; প্রাচুর্ভাবে ভবেৎ ক্রমঃ ” সৰ্ব্বাগ্রে শ্রদ্ধা অর্থাৎ শাস্ত্রাথে দৃঢ়বিশ্বাস, অনন্তর সাধুসঙ্গ, তাহার পর ভজনক্রিয়া, তাছার পর অনৰ্থনিবৃত্তি,তৎপরে নিষ্ঠা অথর্ণ, ভজনীয়-বিষয়ে বিক্ষেপরহিত্য ও সাতত্য, তুহার পর বুদ্ধিপূৰ্ব্বিকা রুচি, তৎপরে রসময়ী আসক্তি, তদনন্তর ভাব ও তাহার পর প্রেম উদিত হয়। সাধকগণের প্রোবির্ভাবের ক্রম এইরূপ নিরূপিত হইয়াছে।
পাতা:শ্রীমাধুর্য্য-কাদম্বিনী.djvu/৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।