२७ মাধুর্য্যকাদম্বিনী। [ ९घ्नां इ8ि: কদাচিৎ স্বপরাজয় ইতি বিষয়সঙ্গর ॥ ৯ ॥ অথ নিয়মক্ষমা। “অদ্যারভ্য ইয়ন্তি নামানি গৃহীতব্যানি এতাবত্যশ্চ প্রণতয়ঃ কার্য্যা ইথমেব তত্ত্বক্তা অপি সেবনীয়া ভগবদসম্বন্ধা বাচোস্থপি নোচচারণীয়া গ্রাম্যবার্তাবতাং সন্নিধিস্ত্যক্তব্যঃ” ইত্যাদি প্রতিদিনমপি প্রতিজানতোইপি সময়ে তথা ন ক্ষমত্বম ইতি নিয়মাক্ষমা । হইয়া পরিত্যাগ সত্ত্বেও সেই অনন্ত কামনার স্কৃণা সহকারে উপভোগ করিয়া থাকে” ভগবৎ-কথিত এই শাস্ত্রবাক্যের উদাহরণস্থল হইয়া সেই সেই ভোগ্য বিষয়ের সহিত সঙ্গর বা যুদ্ধ হওয়ায় কখনও বা বিষয়ের পরাজয় হয়, কখন বা নির্জের পরাজয় ঘটে। ভজনক্রিয়ার এই অবস্থাকে বিষয়-সঙ্গরা কহে ॥৯ ইহার পর নিয়মাক্ষমার কথা বিবৃত হইতেছে। এই অবস্থায় ভজনে শ্রদ্ধার বিবৃদ্ধি বশত: নিয়মরক্ষার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি হয়, কিন্তু বিষয়াসক্তির নাশ না হওয়ায় বৈষয়িক প্রয়োজনের বলবত্তা হেতু ভজন-নিয়মের সম্যক্ প্রতিপালন ঘটে না। বলা বাহুল্য যে, ভজনের রসাস্বাদনের অসামর্থ্যই ইহার কারণ। জিহ্বায় ইক্ষুরসের মিষ্টতার অনুভূতি হইতে আরম্ভ করিলে বালকের পক্ষে যেমন ইক্ষু-চৰ্ব্বণ-ত্যাগ দুঃসাধ্য, সেইরূপ ভজনে মিষ্টতার আস্বাদ অনুভূত হইতে আরম্ভ করিলে উহার ত্যাগ কোনওরূপে সম্ভবপর হয় না । গ্রন্থকার এই অবস্থার লক্ষণ বলিতেছেন। এই অবস্থায় প্রবর্তক সাধক এই প্রকার সঙ্কল্প করেন যে, অদ্য হইতে আমি দশসহস্র বা লক্ষ পরিমাণ নাম গ্রহণ করিব। এতগুলি করিয়া প্রণতির অনুষ্ঠান করিব, এই প্রকারে শ্ৰীভগবানের ভক্তবৃন্দের সেবা করিব, যে বাক্যে ভগবৎসম্বন্ধ নাই, সেইরূপ ৰাক্য উচ্চারণ করিব না এবং যাহারা গ্রাম্য বাৰ্ত্তীর * আলোচনা করে, তাহীদের সঙ্গ সৰ্ব্বতোভাবে ত্যাগ করিব। প্রতিদিন পুনঃ পুনঃ এইরূপ নিয়মের সঙ্কল্প করিয়াও যথাকলে নিয়ম প্রতিপালন করিতে অক্ষম হইবার এই প্রকার অবস্থাকে “নিয়মাক্ষসু” নামে অভিহিত করা যায়। &
- গ্রাম্যবাৰ্ত্তা—স্ত্রীপুরুষ ঘটিত ষ্টতর জনোচিত কথা ।