পাতা:শ্রীমাধুর্য্য-কাদম্বিনী.djvu/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

案ゲ মাধুর্য্যকাদম্বিনী। [ ওয়া বৃষ্ট্রিঃ । বাচোপি । ভক্ত থাস্থ বিভূতি লাভপূজাপ্রতিষ্ঠাদিষু বলীবলিতাসূপশাখাস্ত্র তরঙ্গেন্ধিবাচরন্তা অস্ত রঙ্গ ইতি তরঙ্গরঙ্গিণী ॥ ১১ ৷ ইতি মহামহোপাধ্যায়-স্ত্রীমদ্বিশ্বনাথ চক্রবর্তি বিরচিতায়াং মাধুর্যকাদম্বিন্যাং ভক্তে: শ্রদ্ধাদি ক্ৰমত্রয় কথনপূর্বকং ভজনক্রিয়াভেদ-কথনং নাম দ্বিতীয়াস্তবৃষ্টি ॥ ২ ॥ - তৃতীয় মৃত্তবৃষ্টি: { অথানর্থানাং নিবৃত্তিঃ । তে চানর্থাশ্চতুৰ্ব্বিধাঃ—দুস্কৃতোথা এই উপশাখাগুলিকেই এখানে ভক্তি-মহাসাগরের তরঙ্গরূপে বর্ণনা করা হইয়াছে । ভক্ত এই অবস্থায় তাঙ্গর ভজন ক্রিয়াকে নানারূপে রঙ্গ বা ক্রীড়া করিতে দেখেন ; এই জন্তই এই অবস্থাকে “তরঙ্গ-রঙ্গিণী” নামে অভিহিত করা হইয়াছে ॥১১ - ইতি মহামহোপাধ্যায়। ঐবিশ্বনাথ চক্ৰবৰ্ত্তি-বিরচিত মধুৰ্য্য-কাদম্বিনী গ্রন্থে ভক্তির শ্রদ্ধাদি ক্রমত্রয় কথন পূর্বক ভজন-ক্রিয়া-ভেদ-কথন-নামক দ্বিতীয়ামূতবৃষ্টি ॥২ তৃতীয়ামুতবৃষ্টি । 義 অনন্তর অনৰ্থনিবৃত্তির কথা বলা যাইতেছে। সেই অনর্থ চতুৰ্ব্বিধ ; যথা— দুষ্কতোখ (নিজের দুষ্কৃত বা পাপ হইতে জাত), মুরুতেখে (নিজের ফলাভি অর্থাৎ যে ব্যক্তি ভগবান হরির অৰ্চনা করিয়াছেন, তিনি নিখিল জগৎকে পরিতৃপ্ত করিয়াছেন, মানব-প্রমুখ প্রাণীর কথা কি বলিব, স্থাবর-জঙ্গম পৰ্য্যন্ত জন্তুও তাহাতে অনুরক্ত হইয়া থাকে। অতএব ভক্তের প্রতি স্বভাবতঃই সকল লোকে অমুরক্ত হুইয়া থাকে। ভক্তের নিকট বৈষয়িক, ব্রাহ্ম ও ঐশ্বরিক সুখ স্বতঃই উপস্থিত হইয়া থাকে, যথা ভক্তিরসামৃতসিন্ধুদ্ধত তন্ত্রবাক্যে । “সিদ্ধয়ঃ পরমাশ্বৰ্য্যা ভুক্তি মুক্তিশ্চ শাশ্বতী। নিত্যঞ্চ পরমানন্দং ভবেদেগাবিনা ভক্তিতঃ ॥” “শ্ৰীগোবিন্দে ভক্তি জন্মিলে অণিমাদি অষ্টসিদ্ধি, সৰ্ব্বপ্রকার বৈষয়িক মুখ, ব্ৰহ্মমুখ বা মুক্তি এবং পরমাননারূপ ঐশ্বরিক সুখলাভ হয় ॥”