মহামহোপাধ্যায় শ্ৰীল বিশ্বনাথ বক্রবর্তী ঠাকুর । ( শ্ৰীসত্যেন্দ্রনাথ বস্ব কর্তৃক সংগৃহীত ) শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্তমহাপ্রভূর যে ত্রিলোকপাবনী প্রেমশক্তি শান্তিপুরকে ডুবাইয়া মদীয়াকে ভাসাইয়া দাক্ষিণাত্যে, উৎকলে ও গৌডদেশে তরঙ্গলীলা বিস্তার করিয়াছিল, সেই প্রেমশক্তি র্তাহার পরম রুপাপাত্র শ্ৰীল নরোত্তম দাস ঠাকুর মহাশয়ে আবির্ভূত হইয়াছিল। সেই নরোত্তমশাখারই অকুত্তম ফল পরমভাগবত শ্ৰীল বিশ্বনাথ চক্রবর্তী। বিশ্বনাথের অলৌকিক-শক্তিতে ও অসাধারণ প্রতিভায় গৌড়ীয়-বৈষ্ণব-সমাজে এক নবযুগের আবির্ভাব ঘটিয়াছিল । বৃন্দারণ্যবাসী গোস্বামিগণের অপ্রকটাবস্থায় বিশ্বনাথই শ্ৰীবৃন্দাবনের বৈষ্ণব-সমাজের কর্ণধাররূপে বৃত হইরা গৌড়ীয়-বৈষ্ণব-সমাজকে নানা বিপৎসাগর হইতে উদ্ধার করিয়াছিলেন । o নদীয়া-জেলার অন্তর্গত দেবগ্রাম বহুদিন হইতে পাণ্ডিত্য ও বিদ্যা-চর্চার জন্য বিখ্যাত । এই স্থানে রাঢ়ীয় ব্রাহ্মণকুলে কোনও প্রধান অধ্যাপক-বংশে আনুমানিক ১৫৭৬ শকে শ্ৰীল বিশ্বনাথ চক্রবর্তী আবির্ভূত হন। বিশ্বনাথের পিতামাতার নাম জানিতে পারা যায় নাই । ইহার জ্যেষ্ঠসহোদরের নাম রামভদ্র, মধ্যম সহোদরের নাম রঘুনাথ,—বিশ্বনাথ কনিষ্ঠ । বিশ্বনাথ বাল্যকালে স্বগৃহে অবস্থান করিয়াই ব্যাকরণ, কাব্য, অলঙ্কারাদির পাঠ শেষ করিয়া মুর্শিদাবাদের গঙ্গাতীরবর্তী সৈয়দাবাদ নামক স্থানে ভক্তিশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন । - গুরুপ্রণালী শ্ৰীমনমঙ্গপ্রভূর রুপাদেশ-প্রাপ্ত শ্ৰীলোকনাথ-গোস্বামি-মহাশয়ের একমাত্র শিষ্য শ্ৰীল নরোত্তম দাস ঠাকুর মহাশয় । শ্ৰীল ঠাকুর মহাশয় ও শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্য ঠাকুরই গৌড়দেশে, বৈষ্ণব-শাস্ব, শুদ্ধ-রসমাধুৰ্য্যগর্ভ কীৰ্ত্তন ও বৈষ্ণবসদাচারের পুনঃ প্রবর্তন করেন । ইহাদের শাখা ও উপশাখায় পুনরায় ষোড়শ শতাব্দীতে শ্ৰীগৌড়মগুল-ভূমি পরিপূর্ণ হইয়া উঠিয়ছিল। শ্ৰীল
পাতা:শ্রীমাধুর্য্য-কাদম্বিনী.djvu/৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।