পাতা:শ্রীমাধুর্য্য-কাদম্বিনী.djvu/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয়া বৃষ্ট্রিঃ ] মাধুৰ্য্যকাদম্বিনী। ”fტო· নিন্দেতানেন দ্বেষ-দ্রোহাদয়োহপুপলক্ষ্যন্তে । ততশ্চ দৈবাৎ তস্মিন্নপ রাধে জাতে "হন্ত পামরেণ ময়া সাধুষু অপরাদ্ধমিতি” অনুতপ্তে জনঃ “কুশানেী শামতি তপ্তঃ কৃশানুন এবায়ম” ইতি স্যায়েন তৎপদাগ্রএব। নিপত্য প্রসাদয়ামীতি বিষগ্নচেতসা প্রণতিস্তুতিসম্মানাদিভিস্তস্যোপশমঃ কাৰ্য্যঃ । কদাচিৎ কস্যচন কৈরপি দুষ্প্রসাদনীয়ত্বে বহুদিনমপি তন্মনোভিরোচিন্তনুবৃত্তি: কাৰ্য্যা । অপরাধস্যাতিমহত্ত্বাৎ কথঞ্চিৎ তয়াপ্যনিবর্ত্যকো প্রকার নামাপরাধের মধ্যে প্রথম অপরাধ। এই স্থানে নিনা শব্দের দ্বারা দ্বেষ, দ্রোহ প্রভৃতি উপলক্ষিত হইয়াছে। অনন্তর দৈবাৎ ঐরাপ অপরাধ ঘটিলে “হায় হায় আমি কি পামর, আমি সাধুগণের নিকট অপরাধ করিলাম” এইরূপ অনুতপ্ত ব্যক্তি “অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তি অগ্নির দ্বারাই শান্তিলাভ করিয়া থাকে” এই দ্যায় অনুসারে “আমি যাহাদিগের নিকট অপরাধ করিয়াছি, তাহাদিগের পদতলে পতিত হইয়া তাহাদিগকে প্রসন্ন করিব” এই প্রকার বিষন্নচিত্তে প্রপতি, স্তুতি ও সম্মানাদির দ্বারা সেই কৃতাপরাধের উপশমন করিবে। প্রোক্ত উপায়ে কেহ যদি কাহাকেও প্রসন্ন করিতে না পারেন, তবে বহুদিন ধরিয়া তাহাকে প্রসন্ন করিবার জন্ত ভঁাহীর অভিপ্রেত কৰ্ম্মাদির অনুষ্ঠানের দ্বারা তাহার অনুবৃত্তি করিবেন। অপরাধ নিতান্ত গুরুতর হইলে র্যাহার নিকট অপরাধ হয়, তাহার কোপের যদি কোনওরূপে কোন নিবৃত্তি না ঘটে, তবে “আমার আচরিত ভক্তের প্রতি যে অপরাধ, তাহা কোনওরূপে ক্ষীণ হইল না, নিনা। ২। শ্ৰীবিষ্ণু হইতে শ্ৰীশিবের নামরূপাদির স্বাতন্ত্র্য বা ভেদচিন্তন। ৩। শ্ৰীগুরুর অবজ্ঞা । ৪। শ্রুতি ও তদনুগত শাস্ত্রের নিন্দা । ৫। শাস্ত্রেীক্ত হরিনামাদির মহিমা অর্থবাদ মাত্র—এইরূপ চিন্তা অর্থাৎ নামাদির যে সমস্ত শক্তি শাস্ত্রাদিতে উক্ত হইয়াছে, উক্ত শক্তি বাস্তবিক ঐ সমস্ত বস্তুতে নাই, পরন্তু উহা লোক-সংগ্রহের জন্য প্রশংসাস্থচক জ্ঞানমাত্র এই বুদ্ধি। ৬ প্রকারাস্তরের দ্বারা বা কষ্টকল্পনার দ্বারা বা কুব্যখ্যার দ্বারা নামার্থজ্ঞান। ৭ । নামবলে পাপে প্রবৃত্তি। ৮। অন্ত শুভকৰ্ম্মের সক্তিত নামকে সমান মনে করা। ৯। অশ্রদ্ধালু ব্যক্তিকে নামেীপদেশ। ১• নাম-মহিমা শ্রবণ করিয়াও নামে অপ্রীতি। হরিভক্তিবিলাসে বিস্তারিত আছে।