পাতা:শ্রীমাধুর্য্য-কাদম্বিনী.djvu/৫৬

৩৬ মাধুর্য্যকাদম্বিনী। [ ওয়া বৃষ্টিঃ । পত্বে "ধিভ্রামক্ষীণভক্তাপরাধং নিরয়কোটিষু পতন্তম” ইতি নির্বিদ্য সৰ্ব্বং পরিত্যজ্য সমাশ্রয়ণীয়া নাম-সংস্কীৰ্ত্তনসন্ততিস্তয়া চ মহাশক্তিমত্যাবশ্বমেব কালে ততঃ স্তদেবোদ্ধারঃ "কিং মে মুহুমুহুরেব পাদপতনাদিভিঃ স্বাপকৰ্মস্বীকারেণ “নামাপরাধযুক্তানাং নামান্ত্যেব হরন্ত্যঘম” ইত্যসৈাব পরমোপায়: স এব সমাশ্রয়ণীয়ঃ” ইতি ভাবনায়াং পূর্ববদেব পুনরপি নামাপরাধঃ। ন চ “কৃপালুরকৃতদ্রোহস্তিতিক্ষুঃ সৰ্ব্বদেহিনাম” (১) ইত্যাদি সম্পূর্ণধৰ্ম্মক এব সন্তস্তেষামেব নিন্দ অপরাধ ইতি বাচ্যম। “সৰ্ব্বাচারৰিবৰ্জ্জিতাঃ শঠধিয়ে ব্রাত্য জগদ্বঞ্চকাঃ” ইতি তৎপ্রকরণবৰ্ত্তিন৷ বচনেন তাদৃশদৃশ্চৱিতানামপি ভগৰন্তং ভজতাং কৈমুতিকন্যায়েন অতএব কোটি কোটি নরকে ভাiমাকে পতিত হইতে হইবে। হায় । আমাকে ধিক্ !” এই প্রকারে নিৰ্ব্বেদ সহকারে সব্ব প্রকার কার্য্যত্যাগ করিয়া নাম-সঙ্কীৰ্ত্তনকেই অবিচ্ছেদে সম্যকৃপ্রকারে আশ্রয় করিতে হইবে। এই মহাশক্তিপর মামসঙ্কীৰ্ত্তনের দ্বারা কোনওকালে অবশ্যই অনুতপ্তব্যক্তির উদ্ধার হইবে। কিন্তু যদি এরূপ বুদ্ধির উদয় হয় যে “নামাপরাধী ব্যক্তির নামীশ্রয়ের দ্বারাই পাপমুক্তি ঘটিয়া থাকে” শাস্ত্রে যখন এইকথা আছে তখন বারংবার পাদপতনাদির দ্বারা নিজের লাঘব স্বীকার না করিয়া অপরাধমোচনের পরমোপায়স্বরূপ নামসঙ্কীৰ্ত্তনকেই আশ্রয় করা যাউক” তাহা হইলে পূবববৎ নামঘলে পাপপ্রবৃত্তির কারণ ঘটায় পুনরায় নামাপরাধের উদ্ভব হইল। যদি এরূপ আপত্তি হয় যে “কৃপালু অকৃতদ্রোহী সৰ্ব্ব-প্রাণীর প্রতি সহিষ্ণু” ব্যক্তিকেই শাস্ত্রে সম্পূর্ণ বৈষ্ণবধৰ্ম্মযুক্ত বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন ; অতএব ঐরূপ ব্যক্তিগণের নিন্দ করিলেই অপরাধ হইয়া থাকে, ঐরূপ লক্ষণহীন ব্যক্তির নিন্দীয় বৈষ্ণবীপরাধ হয় না। ইহার উত্তরে বলা যাইতেছে যে, শাস্ত্রে যখন জ্বরাচার ব্যক্তিও অনন্তচিত্ত হইয়া ভগবদ্ভজন করিলে তাহাকে সাধু বলিয়া মনে করিতে বলিয়াছেন, তখন “সৰ্ব্বাচার-বিবর্জিত শঠবুদ্ধি ব্রাত্য জগদ্বঞ্চক" ইত্যাদি প্রকরণোক্ত বচনের দ্বারা তাদৃশ দুরাচারগণও যে 88 lכ נtלג Rט (3)