পাতা:শ্রীমাধুর্য্য-কাদম্বিনী.djvu/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বৃষ্টিঃ ], মাধুর্য্যকাদম্বিনী। vరిన প্রকৃতেঃ পর” ইতি। দ্বিতীয়ং শিবাদ্যভিধর্ম · ধর্ভুক্তম—“শিবঃ শক্তিযুতঃ শশ্বৎ-ত্রিলিঙ্গে গুণসংবৃত” ইতি। অত্র গুণসংবৃতলিঙ্গেনাপি ভসা জীবত্বং নাশঙ্কনীয়ম । “ক্ষীরং যথা দধিবিকারবিশেষ-যোগাৎ সঞ্জায়তে ন তু তত: পৃথগস্তি হেতু । য: শস্তৃতামপি তথা সমুপৈতি কাৰ্যাদ গোবিন্দমাদিপুরুষং তমহং ভজামীতি” ব্রহ্মসংহিতোকে । অন্যত্ৰ চ পুরাণাগমাদিষু বহুত্র ঈশ্বরত্বেন প্রসিদ্ধেশ্চ যত্ত "সত্বং রজস্তম ইতি প্রকুতেগুণ1” (১) ইত্যত্র “স্থিত্যাদয়ে হরিবিরিঞ্চিহরা” ইত্যনেন তৎসাধারণ্যাৎ ব্রহ্মণ্যপীশ্বরত্বমবগম্যতে তদীশ্বরাবেশদেবেতি জ্ঞেয়ম । •"ভাস্বান যথাশাসকলেষু নিজেষু তেজঃ স্বয়ং কিয়ৎ প্রকটয়ত্যপি তদ্বদত্র। ব্ৰহ্মা ষ এব জগদগুবিধানকর্তা” ইতি ব্ৰহ্মসংহিত্যেক্তেঃ । পুরুষ।” দ্বিতীয় প্রকার স্বীকৃত-মায়াম্পর্শ ঈশ্বর-চৈতন্য শ্ৰশিবাদি নামে অভিহিত হয়েন। শাস্ত্রে কথিত আছে “ইশিব নিত্য, শক্তিযুক্ত, ত্রিলিঙ্গ ও গুণসংবৃত।” এইস্থানে গুণসংবৃত বা গুণের দ্বারা আবৃত—এই চিহ্নহেতু জীবও গুণাবৃত বলিয়া তাহাকে জীব বলিয়া আশঙ্কা করা উচিত নহে। যেহেতু ব্ৰহ্মসংহিতায় বলা হইয়াছে— “বিকার-বিশেষের যোগে দুগ্ধ দধিতে পরিণত হইলেও দুগ্ধ হইতে যেমন:তাহার উৎপত্তির পৃথক কারণ নাই ( অর্থাৎ দুগ্ধ ও দধি যেমন একই গবাদি হইতে উদ্ভূত) তদ্রুপ যিনি কাৰ্য্য-প্রয়োজনে শস্তৃতা প্রাপ্ত হন বা শিবরূপে আবিভূর্ত হন, আমি সেই আদিপুরুষ শ্ৰীগোবিন্দকে ভজনা করি। অন্যত্র বহুপুরাণ ও আগমাদিতেও শ্ৰীশিবের ঈশ্বরত্ব প্রসিদ্ধ আছে ; ভাগবতের “সত্ত্বং রজস্তম ইতি প্রকৃতে গুণা” এই শ্লোকে স্বষ্টি, স্থিতি ও সংহাররূপে কাৰ্য্যভেদে শ্ৰীহরিও হরিবিরিঞ্চি-হর সংজ্ঞা ধারণ করেন—ইহা বলা হইয়াছে, উছা হইতে সাধারণত ব্ৰহ্মারও যে ঈশ্বরত্ব অবগত হওয়া যায়, তাহা ঈশ্বরাবেশ বশতঃই হইয়া থাকে-ইহ বুঝিতে হইবে। ব্রহ্মসংহিতায়ও বলা হইয়াছে